স্বপ্ন কুমারী স্বপ্ন হয়েছে
                                  ক্রমিক-নংঃ ৯৩
  _____ শাহাদাত সোহেল নীল.(কাকতাড়ুয়া)


কাল রাতের জোনাকিরা
              আমায় বলেছে;
কর্ণ ঘেষে বয়ে যাওয়া
ঐ বাতাস আমায় বলেছে।
গোলাপের সতেজ পাপড়ি গুলো
    অবেলায় শুকিয়ে গেছে
তারা সবাই আমায়
      কি যেন বুঝাতে চাচ্ছে
কিন্তু কোন মতেই পারছে না।
ঘরের বাহির হতে কেউ একজন
        ভাঙ্গা গলায় বলল আমায়
স্বপ্ন কুমারী খুব শিখ্রই
        ফিরবে তোমার আঙ্গিনায়।।


লক্ষ্মীপেঁচাটা মুগডালে বসে
            ডাকছে সে বিষণ্ণ মনে
চিন্তায় বাজ পড়ল কপালে,
অজান্তে নিলাম্বরে মেঘ জমেছে
                      তবে কি.....?
সুখ পাখিটা ডানা-জাপটাল দূর আকাশে।
ধ্যুৎ! কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না
                         কি যে হচ্ছে এসব
সবাই কিছু বলবে বলে আসে
অথচ আমায় দেখে মুখ লুকিয়ে কাঁদে।।


                 অজানা কারণে
বহুদিন ধরে লাগছে বড় একাকি
                   নিস্তব্ধ রাতে যেন
চিৎকার করে আমায় কিছু
                    বলতে চায় ঝিঁঝিঁ।
বললাম, নির্ভয়ে বল ভাই
                      কোন সমস্যা নাই।
আধ-আধ ঝিঁ-ঝিঁ স্বরে,
                       সেও মুখ লুকায়
সেও নির্বাক হয়ে
             মেতে উঠে বোবা কান্নায় ।।


এ যেন এক অপয়া রজনী
সারা রাত জাগ্রত থেকে
নব-দিনের করেছি অপেক্ষা
          কে জানিত!
অপেক্ষার ফল হবে তিতিক্ষা।
মধ্যরাতে গগণ হতে
সুখ তারাও ঝরে পড়ল
                হতভাগার পদতল!
বললাম, কি হয়েছে তোর?
থাকিস তো দূর দেশে
তবে আজ কেন মাটির বুকে,
কিসের এতো কষ্ট তোর?
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে
সেও ডুব দিল দুঃখ সাগরে।।


একটু পরে দেখি
সকাল হতে নেই তো দেরি
মসজিদ হতে ভেসে আসে মধুর ধ্বনি।
দোয়েল-কোয়েল শালিকরা
                         তখনো ওরা ঘুমিয়ে।
বিছানা মাড়িয়ে গেলাম পুকুর পাড়ে
                           দেখা হল মাছরাঙার সাথে
ও ভাই মাছরাঙা, কথা শুনে যাও
              এতো হন-হন করে, কোথায় যাও শুনি?
বেদনা মাখা কন্ঠে বলল আমায়
যে কবু যাওয়ার নয়
               সেও তো নিল বিদায়।
বললাম, কি সব বলছো তুমি আবল-তাবল?
বলল সে, স্বপ্ন কুমারী স্বপ্ন ছাড়া
                      আর কিছু-ই নয়
              গত নিশিতে গত হয়েছে
তোমায় রেখে দূর হতে দূরে বহুদূরে
                     নীরবে পালিয়ে গেছে.....।।


রচনাকালঃ ১৪--০৫--২০১৬ইং