( আজ আমার প্রিয় কবিদের জন্য একটি রংপুর অঞ্চলের বিয়ের গীত)


জোলার ব্যাটা কোলাৎ চড়ি
বিয়াও কইরবার যায়
হাউস করি বিতরী চাউলের
পন্তা দিলে মায়-
ছাওয়া ঘপঘপেয়া খায়!
গাবড়ু বিয়াও কইরবার যায়।।


আকালি নাই, নবনও নাই
ঢালোং একনা ঘি
কইয়্যাঁর বাপে পিরান দেয় নাই
ছাওয়া পিন্দে কি-
হায়রে ছাওয়া পিন্দে কি?
সেই না দুক্কে গাবড়ুর মসি
কান্দে হায়রে হায়।।


অটো নাই, ইশকাও নাই
গাড়িও নাই ছিঃ
কইয়্যাঁর মামু জুতা দেয় নাই
গাবড়ু পিন্দে কি-
হায়রে গাবড়ু পিন্দে কি?
ঘাটা ধরিল হাঁটা পন্থে
কাঁটা বিন্দিল পায়।।


গাবড়ু-সাগাই ঘাটৎ আসিল
ঘাটোত নাই নাও
কইয়্যাঁর খালু বড়ই কিপটা
করে নাইরে ভাও-
হায়রে করে নাইরে ভাও।
সাজাও একটা কলার ভুড়া
গছ কোনটে পায়?


চেয়ার নাইরে টেবিল নাইরে
সাগাই ভত্তি বাড়ি
গাবড়ুক বইসতে বিছিয়া দেও
কইয়্যাঁর মায়ের শাড়ি-
হায়রে কইয়্যাঁর মায়ের শাড়ি।
খুঁজি খুঁজি পাইলে একখান
জোড়া তালি তায়।।


কইয়্যাঁর বইনের নাটক বেশি
ত্যালোঙ ত্যালোঙ করে
সরবত দিতে চ্যাংড়াগুলার
গায়োত উল্টি পড়ে -
চ্যাংড়ার গায়োত উল্টি পড়ে।
বইনের পাছোত এমরাও দ্যাখোং
বিয়াও বইসপার চায়।


কইয়্যাঁর বওনাই দুবাই থাকে
চাগার দ্যাখায় কি যে
গাবড়ুক একনা কোলাৎ নিয়ে
উল্টি পড়িল নিজে-
হায়রে উল্টি পড়িল নিজে।
কান্ড দেকি সাগাইগুলার
হাসি থামা দায়।।


রচনাকাল : ০৭ আগষ্ট ২০২৩, লালমনিরহাট।