দুঃখী মায়ের সুখি ছেলে পাঁচতলা তার  বাড়ি,
সেই বাড়িতে অ্যালসেশিয়ান পোষেন গোটা চারই।
দুজন আছে কাজের বুয়া তিনটি কাজের লোক
বাবুর আছে মাসে দুবার বিদেশ যাওয়ার ঝোক


স্বামী স্ত্রী ছেলে-মেয়ে সবাই মিলে নয়
খানাপিনার নেই তো অভাব, নিত্য অপচয়।  
ইদানিং সে জায়গা জমি কিনছে অনেক গাঁয়ে
সেসব দেখাশোনা করেন দুঃখিনী তার মায়ে।


মায়ের কথা উঠল যদি খুলেই বলি তবে
তখন বাবুর বয়স কত? ১৪-১৫ হবে।
বাবা গেলেন পরকালে দুদিন ভুগে জ্বরে
বাবু তখন দশম শ্রেণী, লেখাপড়া করে।


পরের বছর মেট্রিকে সে সাতটি লেটার পেল
শহর থেকে  সাংবাদিকরা দেখতে কত এলো
টিভিতে তার খবর দেখায়, পেপারেও  ছাপে
মায়ের কাঁদেন, এত সম্মান দেখল না ওর বাপে।


দুদিন পরেই রফিক সাহেব এলেন ঢাকা থেকে
আসার আগে  খোঁজ নিয়েছেন বাবুর আছে কে কে।
উদারতা দেখান  তিনি সকল কথার শেষে
ভালো কলেজে ভর্তি হল বাবু ঢাকায় এসে।


(চলবে)