লাফ দিয়ে বাপ উঠলো গাছে-
ছেলে রইলো নীচে,
কই লুকোবে যায়গা খোঁজে
ভালুকটা তার পিছে!
হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো-
ভাল্লুক ছোঁয়না মরা
অমনি শুয়ে মাটিতে সে-
ভান-টি ধরে ত্বরা!
========== এই আটটি লাইন লিখে আমার অতিপ্রিয় কবি সঞ্জয় কর্মকারকে
অনুরোধ করেছিলাম ছড়াটি শেষ করার জন্য। তিনি যে ভাবে শেষ করলেন-
তরিৎবেগে ভালুক ভায়া
আসলো গাছের তলে;
নাক কুঁচকে গন্ধ শোকে
হলফ করে চলে।
দম ছিল তার বন্ধ করা
বুকটা ছিল স্থির;
মগজ ছিল শান্ত কানাই
সাহস ছিল বীর।
ভালুক ভায়া যাচাই শেষে
মৃতই তারে মানে;
এই যাত্রায় বুদ্ধি কানাই
বাঁচলো তার ঐ জানে।
যেই না গেছে ভালূক তালুক
লাফ দিয়ে বাপ নামে;
জড়ায় বুকে মানিক সোনা
গালটি তার ঐ চূমে।
চোস্ত গলায় কানাই হাঁকে
বাপ রে সরায় দূরে;
তিন শো আশি এঙ্গেলেতে
হটাত গেল ঘুরে।
কইলো কানাই বাপের নামে
লজ্জা রে তুই পাপ;
তোর নামে মুই কুত্তা পুষুম
তুই নয় মোর বাপ।