এক।
ভাতের হাড়ি শূন্য তবু জাতের স্বভাব যায়না,
সময় পেলেই কাগজ-কলম কাব্য লেখার বায়না!
বাহিরে লোক, গিন্নি ঘরে
হর-হামেশা ঠাট্টা করে
কবি আমি এত্তোটুকুন মানতে তো কেউ চায়না!


দুই।
প্রেমের বাঁশি বেজেছিল, বয়স তখন অল্প;
জুঁইয়ের সাথে পার্কে বসে ভবিষ্যতের গল্প!
জানিনা সে এখন কোথায়?
কেমন আছে কি করে খায়!
তার মনেও আমার কথা আছে কি না স্বল্প।


তিন।
ভাবছিলাম এই জীবন কেটে যাবে একই হালে।
কেবা আছেন ফুটো করেন আমার না’য়ের পালে!
হঠাৎ করে এলো কি ঝড়
হাল ভাঙ্গলো না’ থরথর!
শংকা এখন পারের দেখা পাবো যে কোন কালে!


চার।
ডানে-বায়ে সারা গাঁয়ে ছিলাম সবার আপন;
পান থেকে চুন খসলে ওদের উঠতো বুকে কাঁপন
বাঘ-মোষকে একই ঘাটে
জল খাওয়াতাম আপন ডাটে
এখন সময় উল্টো বলে ব্যঙের জীবন যাপন।