এই গাছে ঐ গাছে  ডাল-পাতা ফাঁকে.
টোনা খোঁজে টুনিরে, টুন-টুন ডাকে!
কিন্তু টুনির কোন মিলেনা তো সাড়া,
দিন গেলে টোনা হয়ে ওঠে দিশেহারা!


নাওয়া-খাওয়া বন্ধ! মাদকেতে ডুব!
নীল আকাশ স্বাক্ষী, থাকে নিশ্চুপ!
পাহাড়, নদীও দেখে, বলেনা যে কথা।
পাতারা তো ঝরে পড়ে, তবু নীরবতা!


একদিন কোথা থেকে উড়ে এলো মেঘ,
টোনাটাকে দেখে তার- উথলে আবেগ!
স্বস্নেহের ছায়া ফেলে টোনাটার গায়,
যেচে বলে- ‘দেখি আমি কী করা যায়!


যাযাবর মেঘ আমি, যেথা খুশী উড়ি,
এই দেশ ঐ দেশ কতো দেশে ঘুরি!’
ঢুলুঢুলু চোখে টোনা তাকায় বারেক,
দুঃখটা বুকে চেঁপে উড়ে যায় মেঘ!


ফিরে আসে সে আবার সাত দিন পর
চুপে চুপে বলে দেয় টুনির খবর!
‘গতকাল সন্ধ্যায় তারে দেখা যায়-
দূর বনে নির্জনে একা অসহায়’।


খবর শুনেই টোনা ছোটে দূর বনে-
মেঘটাও উড়ে উড়ে যায় তার সনে!
টোনাকে দেখেই টুনি কেঁদেকেটে সারা,
কেউ নেই দুজনের দুজনাকে ছাড়া!


টুনির কাঁদনে টোনা নিজে হয় আকুল,
টুনি বলে মাপ-সাফ করো সব ভুল!
দুই জনে ধরা ধরি জড়াজড়ি বুকে-
চলো যাই ঝাউবনে ঘর করি সুখে!


__________________
# ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, লালমনিরহাট।