তখন গোধূলী মুছে গিয়েছিলো।
নেমেছে  সাঁঝের কালো!
ঝোপে-ঝাড়ে জোনাকীরা সব
জ্বেলেছে নিয়ন আলো!
ক্ষানিক পরেই পূবের গগনে-
চাঁদ উঠেছিলো হেসে
চাদেঁর আলোয় ধরণী যেনো-
যাচ্ছিলো ঠিক ভেসে!


নির্জন পথ। আমি একাকী-
ফিরছি শহর থেকে।
দুই ক্রোশ আগে, গাঁয়ের সড়ক
যেখানে গিয়েছে বেঁকে!
ডানে বটগাছ, বামে অশথ
মাঝে কালী মন্দির-
মন্দির ঘেঁসে কে একজন-
দাঁড়িয়ে রয়েছে স্থির!


থমকে দাঁড়াই! ওখানে কেরে?
দেয়না তো কেউ সাড়া!
ভয়ের একটা স্রোত নেমে যায়
বেয়ে পিঠে শিরদাড়া!
পাদু'টি তখন আটকে গেছে-
বুঝিবা মাটির সাথে!
বুক ধরফর, কাঁপছে শরীর!
শব্দ উঠেছে দাঁতে!


হিসেব কষে দেখলাম আজ
শনিবারের এক তিথি!
তার মানে কী? জীবন বুঝি
এইখানে হয় ইতি!
ঘন্টা খানেক ঠাঁয় দাঁড়িয়ে-
হইনা আগু-পিছু!
'প্রেত' নাকি  মা-কালী সয়ং
বুঝতে পারিনা কিছু!


হঠাৎ কিছুটা দমকা হাওয়া
লাগলো এসে গায়!
ঠিক তখনই-নিশ্চল অবয়
হাতনেড়ে ডাকে আয়!
জানতাম যদি এই হাল হবে-
এপথে আসি কী কভু!
বুকের কাঁপন বাড়লো আরো
রক্ষে করো গো প্রভূ!


প্রভূ আমার ডাক শুনিলেন।
টর্চের আলো হাতে-
কোথা থেকে যেনো দশ-বারো জন
লোক এলো এক সাথে!
তাদের দেখে সহসে আমার-
ফুলে ওঠে বুক-ছাতি!
মনে মনে বলি পালাবে এবার
কেলো ভূঁতের নাতি!


টর্চের আলো যেই পড়লো-
মন্দিরটাতে এসে,
প্রেতকে দেখে দুচোখ আমার
কপালে উঠলো শেষে!
একটি গাছের গুড়ির উপরে-
কেবা রেখেছে শার্ট!
আমার জা'গায় আর কেউ হলে-
ফেল করতোই হার্ট !!


____________________
# ২৭ অক্টোবর ২০১৫, লালমনিরহাট।