ছুটি চাই স্যার, লম্বা...ছুটি যাবো আমার গাঁয়!
যেখানটাতে শৈশব আমার উড়ছে দখিন-বায়!


শাপলা-ঝিলে মাছরাঙা-মন হঠাৎ দিতো ডুব!
ডাহুক ছানা আমায় দেখে- লুকিয়ে যেতো চুপ!
তাল-সুপারী পাতায় পাতায়- বাবুই পাখির ঘর;
কিচির-মিচির সুরের মাতন সারাটা দিন ভর!
বাঁশের ঝাড়ে,বেতের বনে নিবিড় সাঁঝের কালে-
মিষ্টি হেসে জোনাকীরা আলোর প্রদীপ জ্বালে!
খড়স্রোতা নদীও আছে- দুই ধারে কাশ বন,
রাখাল ছেলে বাঁশির সুরে উদাস করে মন!
বালির কণা হাসতো যখন-রোদ্দু’ গায়ে মেখে!
প্রজাপতির পাখায় আমি-স্বপ্ন দিতাম এঁকে!
ছুটি চাই স্যার লম্বা...ছুটি ডাকছে আমায় গাঁ,
ত্রিশ বছর পেরিয়ে গেলো-গ্রামটা দেখি না!


ঘুমিয়ে গেলেন সুরত আলী বুকে নিয়ে ক্ষত;
শহর তাঁকে ছুট্টি দিলো-চিরদিনের মতো!
__________________________
০৬মার্চ ২০১৬, লালমনিরহাট।