-হ্যা...হ্যা..হ্যালো!
-হ্যালো ! কে বলছেন?
-আ..আ..আমি, আমি চন্দ্রা!
-কোন... চ..ন্দ্রা?
-চন্দ্রাবতী। কুসুমপুরের চন্দ্রাবতী! আপনার চন্দ্রাবতী।
-চ-ন্দ্রা-ব-তী! আ..মা..র চন্দ্রাবতী? ও নামে তো...


(বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে মাধবের।
টুপ করে ডুবে যায় সে স্মৃতির অতলে, মনটা সহসা হারায়
দুরন্ত শৈশব ঘেরা কুসুমপুরে)


-হ্যালো! হ্যালো! হ্যালো! শুনতে পাচ্ছেন? হ্যালো!
-হ্যালো!
-শুনতে পাচ্ছেন?
-পাচ্ছি!


-কেমন আছো তুমি মাধব দা...?
-মাধব দা? আ...আ...আপনি ভুল করছেন, আমি মাধব দা নই!
-ভেবেছো মাত্র দু’বছরেই তোমার কন্ঠটা- ভুলে যাবো আমি?
-বলছি তো আমি মাধব দা নই! আর...
-আর কী?
-আর এই নাম্বারটা আপনি কোথায় পেলেন?
-শুধু কি নাম্বার? তোমার সমস্ত খবর আমি জোগার করেছি! অনেক কষ্টে!
-সমস্ত খবর? তার মানে কি?
-মানে শিলিগুড়িতে কোথায় থাকো, কি করো ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাড়ি ছেড়েছো দু-বছর! একটা  ফোন করোনি
চিঠি পর্যন্ত দাওনি বৌদিকে যে কিনা-
সন্তানের মতো কোলেপীঠে মানুষ করেছে তোমায়,
তাঁর প্রতি কী কোন দায় নেই...?
না হয় ভাগ্য আমাদের ঠকিয়েছে...তার শাস্তি তুমি- এভাবে দিবে?
আমাকে দিচ্ছো দাও কিন্তু তিনি কি দোষ করলেন... বলো তো মাধব দা?


-আপনি এতো কথা কাকে শোনাচ্ছেন?
বললাম তো আমি মাধব নই! এটা রং-নাম্বার।


(মাধবের বুকের ভেতরে ঝড় বইতে শুরু করলো...
হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার সামান্য
স্মৃতিটুকু বুকে আগলে জীবনের সব
বির্ষজন দিয়েছে সে। একাকীত্বের জীবনে যে শুধু সাধনার ধন, তাকে কোনভাবেই
সমাজে হেয় হতে দেয়া যায় না। এ আবার
কেমন খেলা বিধাতার। লাইনটা কেটে দিলো মাধব।
কিন্তু ফোনটা আবার বেজে উঠলো। বেজেই চললো....)