(হামিদ সাহেবের স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়ে। উভয়ই বিচ্ছু টাইপের। লেখাপড়ার চেয়ে দুষ্টমীতে পাকা। কোন হোম-টিচার পড়াতে এলে তাদের যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে দশ/পনের দিনের মধ্যেই পালাতে বাধ্য হন। অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেলো এমন একজনকে যিনি তাঁর আপন মেধায় নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে খুব সহজে তাদের প্রিয় স্যার হয়ে উঠলেন। সুধীর স্যারের পড়ানো একটি কৌশল আজ ছড়ায় প্রকাশ করলাম। প্রশ্ন : মঙ্গলগ্রহ সর্ম্পকে প্রাথমিক ধারনা )


শোনরে খোকা, শোনরে খুকু
গল্প হোক আজ এত্তোটুকু
খালের ধারে তেঁতুল গাছে
রাত দুপুরে ভূঁতটা নাচে!
নাচন যদি দেখবি তার-
বল কে যাবি খালেরধার?


নাম-টি ভূঁতের শ শ ধর!
তার মানে কি? চিন্তা কর।
নিত্য শ’ শ’ মানব ধরে-
মঙ্গলে সে চালান করে।
মঙ্গল কি জানিস তোরা?
গ্রহ নামের একটা ঘোড়া!


ছুটছে যেমন  এই পৃথিবী!
আরো আছে, নাম কতো কি!
বুধ… শুক্র… শনিও আছে
মঙ্গল আমার সবচে কাছে।
সূর্যটাকে কেন্দ্র করে-
ঘুরছে সবাই ভীষণ জোরে!


বিজ্ঞানীরা বলছে কে কি?
জানিস নাকি? বলতো দেখি!
পারলি নাতো, অজ্ঞ মূলে-
এক্ষুনি দেখ বইটা খুলে!
আমি বটে একটু জানি-
কেউ বলেছেন আছে পানি!


পানি মানেই জীবন থাকা
নতুন কোন স্বপ্ন আঁকা!
সেই জীবনের কেমন ধরণ
ক’বছরে মৃত্যু বরণ
এসব নিয়ে প্রতিটি ক্ষণ
বিজ্ঞানী কেউ ব্যস্ত এখন!
__________________
রচনাকাল : ১৯/০৬/১৯৮৫ ইং