এই মাঠ, নদী, জল, প্রান্তর, আকাশের নীল-চাদোয়া খানি,
সবুজের সমারোহ, ফুল, পাখি, প্রজাপতি প্রিয় যাহা কিছু
কানামাছি, গোল্লাছুট, হা-ডুডু, ছি-বুড়ি, রশিধরে টানাটানি
নতুন সাইকেল, পোষা শালিক কেউ তারে ডাকলোনা পিছু।


বই-খাতা, ঘুড়ি-লাটাই, দেয়ালে টাঙ্গানো প্রিয় নজরুল,
খাটের নীচে ভাঙ্গা স্যুটকেসে জমানো যতোসব জিনিষপত্র
গুলতি, জুতো-জামা, নিজ হাতে গড়ে তোলা বাগানের ফুল,
রয়ে গেলো সবই যে যার মতো ছড়ানো ছিটানো যত্রতত্র!


হাসপাতালের বেডে পরে থেকে সংজ্ঞাহীন রাত কাটে দুটি
তারপর চোখ মেলে এদিক ওদিক কিছু দেখা, কিছু খোঁজা
কে জানতো এভাবে হঠাৎই সে একেবারে নিয়ে নিবে ছুটি
ঘুমিয়ে পড়লো নাকি? চেতনা হারালো ঠিক গেলোনা বোঝা।


নির্বিকার পিতা, স্তব্ধ জননী, ছোটবোন করে ওঠে আর্তনাদ
সহসা কেঁপে ওঠে দু’শ সয্যার চৌকাঠ, জানালা-পর্দারা সব
ছুটে আসে নার্স, নাড়ি দেখে অতঃপর চাদরে ঢেকে দেয় চাঁদ
ডাক্তার নেই, কর্ম বিরতি, প্রাইভেটে রোগীদেখার.. উৎসব!


                                                      ০৭ মার্চ ২০১৭
                                                       লালমনিরহাট।