বিচার চাই!
কোথায় পাব?
চাওয়ার মাঝে তো কোন দোষ নেই।
বিচারপতিরা যে আজ মানুষখেকো,
সমাজে, মহল্লায়, গ্রামে শহরে সবাই আজ -
টাকার কাছে পরাজিত একেক জন সৈনিক!
সাম্প্রদায়িকতার আস্ফালন চারপাশে,
স্টার্চুর মত যেন সবাই নির্বাক, নিস্তব্ধ, মহাস্তম্ব।
বিবেক মরে নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে আগেই।
বাবা-মা কে হারিয়ে সন্তান
ভাইকে হারিয়ে সহোদর,
প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে জন্মদাতাদের চোখের পানি,
বছরের পর বছর শুকিয়ে প্রতিনিয়ত হচ্ছে মরুদ্বীপ।
অস্ত্র, তলোয়ার, বোমা আর কেউ লুকিয়ে রাখেনা,
কারো না কারোর বুক খালি করতে খেলা করে জনসম্মুখে।  
আমরা অভ্যস্ত!
কারো হৃদয়ে কি সামান্য পরিমাণ ভয় নেই?
নির্দোষীদের কত সহজে আমরা ফাঁসিয়ে বলছি - অপরাধি !!!
বিন্দু পরিমাণ বোধোদয় নেই কারো,
হারিয়ে গেছে লোকান্তরে।
আচ্চা - গণতন্ত্র তুমি দেখতে কেমন?
আমি আজো তোমায় খুজে বেড়াই।
এত বয়স পার করেছি,
জন্মের আগেই যুদ্ধজয়ী ছেলে আমি।
সেই নরঘাতকদের কব্জা থেকে আমার দেশকে ছিনিয়ে এনেছিল পূর্বপুরুষেরা!
লাল-সবুজের পতাকা হৃদ মাঝারে
তারও আগে পেয়েছি মায়ের ভাষা।
তবুও হদিস নেই গণতন্ত্র নামের সোনার হরিণের,
নেকাব উটাও গণতন্ত্র!
হে গনতন্ত্র,
তুমি দেখতে কেমন?
কাল,সাদা,সবুজ নাকি অন্য রঙের -
তোমার নামে আজ জমাটবদ্ধ রক্তের হোলিখেলা,
ক্ষমতার উন্মুক্ততায় মাতাল শাসকশ্রেণী।
চিৎকার আহাজারি, আর্তনাদে,
বাংলার আকাশে অশনিসংকেত!
প্রতিটি নিঃশ্বাসে -
মেঘলা আকাশের প্রতিধ্বনি।
তোমার দোহাই দিয়ে আজ মানুষ মরে একঝাক পিপড়াকে পায়ে দলার মতন,
ভেসে আসা জলস্রোতের মত চারদিকে রক্তের বন্যা!হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মরণচিৎকার -
বাঁচাও আমাকে বাঁচাও, আমি বাঁচতে চাই?
যাদের কাছে মানুষ বাঁচার আকুতি নিয়ে যায়,
সেই ডাক্তাররাও আজ মানুষখেকো!
বুদ্ধিজীবীদের নিশির পর নিশি পার করা চর্বিতচর্বণ,
উনিশ শতকে এসে সেই আদিম যুগে আমরা।  
স্মৃতির ক্যানভাস থেকে কেউ একজন ডাক দিচ্ছে?
কোন সাড়া নেই ।।