আজো প্রতিক্ষণে তোমাকেই যাই
স্বরে,
আজো প্রতিক্ষণে তোমাকেই শুধু
তোমাকেই মনে পড়ে,
উদাস পথের উদাসী যাত্রী,
নিদ্রাহীন থাকি সারাটি রাত্রী,
হৃদ-সিন্ধুতে ঢেউ তুলে যায় নামহীন
এক ঝড়ে,
ক্ষাণিক পরেই
দেখি আমি আছি সিন্ধুর বালুচরে।


আজো প্রতিক্ষণে তব ভাবনায় থাকি,
হৃদয়-গহীনে সারাক্ষণ শুধু তোমারই
ছবি আঁকি,
অতীত জীবনে চেয়ে দেখি হায়,
কতো সুখ সেথা' পালিয়ে বেড়ায়,
সেই সে অতীত এখন যে আমি ভাবনায়
চেপে রাখি,
দুঃখ এসে ভরেছে জীবন.
হারিয়েছে সুখ পাখি।


আজো প্রতিক্ষণে চোখ দু'টো যায়
ভিজে,
হাতের আড়ালে অশ্রু
লুকিয়ে ভাবি শুধু করি কি যে!
কেন ভিজে যায় আপন দু'চোখ,
হৃদয়ের মাঝে কেন এতো শোক,
কেন সারাক্ষণ মনে পড়ে তোমা'
বুঝিনাতো হায় নিজে,
দেখ দেখ প্রিয় আমার দু'চোখ আবার
উঠেছে ভিজে।


আজো প্রতিক্ষণে তোমারই পরশ পাই,
কল্প জগতে বারে বারে তাই তব
দ্বারে ছুটে যাই,
দেখে দেখে তোমার মিথ্যে ছাঁয়া,
জেগে ওঠে সেই সত্য মায়া,
কেঁদে ওঠে মন পারিনা বারণ
করতে যে তারে. ভাই,
হৃদয়টা আজ শূন্য বড় নাই নাই কিছু নাই।


আজো প্রতিক্ষণে দেখে তব চাঁদ মুখ,
দুঃখের সাগরে ডুবে থেকে যেন
ভুলে যাই আমি দুখ,
কষ্টে যদিও হৃদয় রিক্ত,
দু-চোখ জলে অশ্রুশিক্ত,
তবু অশ্রু মুছে কষ্ট ভুলে দেখি আমি তব
মুখ,
ক্ষণিকের তরে অতীতের
থেকে টেনে আনি হারা' সুখ।


আজো প্রতিক্ষণে তোমাকে স্বরণ
করে,
সন্ধ্যে সন্ধ্যে মনে হয় আমার স্নিগ্ধ-
শীতল ভোরে,
সুখের প্রভাতে দুঃখের রাত্রী,
সত্যিই আমি উদাসী যাত্রী,
কল্প-জগতে আজো আছি আমি তোমার
দু'হাত ধরে,
ছাড়বোনা কভূ যতদিন প্রভু না নেয়
আঁধার গোরে।


——————————————
-- কবিতাটি হৃদয় থেকে লিখলাম।
তাই লিখার সময় আমার চোখ
জলে ভিজে গিয়েছিলো।
আশাকরি হৃদয় দিয়ে পড়লে কবিতার
মর্ম বুঝতে পারবেন।
তবে আমার মতো কারও চোখ
ভিজে যাক সেটা আমি চাচ্ছিনা।