যদি জানতে চাও...
নারীর কোন অঙ্গ করে ভঙ্গ স্বাভাবিক চলাচল
কোনটি বড় বেশি টানে, হও বিহবল?
এককথায় বলি বক্ষ জুড়েই তার তৃষ্ণা নিরন্তর।
স্পষ্ট করেই বলি ‌'স্তন' তার মুগ্ধ-মনোহর।
এটা আমার সাহস অথবা সত‌্যিকারের আমি।
যদি বলো অসভ্য-বেহায়া, তবে বলবো-
নারীর চোখ, ঠোঁট কিংবা ভিন্ন নারীর ভিন্ন কিছু
আর এটা আমার মুখোশ,
সব মানুষই যার আড়ালে
নিজেকে সুসভ্য ফুটিয়ে তোলে।


একটা নারী একটি নদী।
কখনোবা তাঁকে মনে হয়
মাথার উপর বিশাল আকাশ
কখনোবা বিশাল জলরাশি
মরুভূমির ধূ-ধূ মরীচিকাও মনে হয়
কখনো মনে হয় একটা নারী একটা পৃথিবী।


নারী ভাসায়, নারী ডুবায়
নারী গড়ে তোলে তাজমহল;
আবার নারীতেই ধ্বংস ট্রয়নগরী।
নারী মমতাময়ী, নারী ছলনাময়ী
নারী সুহাসিনী, নারী ভয়ংকরি।


নারীকে ভালোবাসি, নারীকে ঘৃণা করি
নারীকে শ্রদ্ধা করি, নারীকে ভৎসনা করি।
নারীর জন্য ভালোবাসা-ঘৃণা পাশাপাশি রাখি।
তাঁর জন্য শ্রদ্ধা-ভৎসনা দুটোই পুষি।
তাঁর অঙ্গকে ভালোবাসি, অন্তরে লুকিয়ে থাকি।
তাঁর অঙ্গ ছুঁয়ে পুলকিত হই, মন ছুঁয়ে বাঁচি।


যদি বলো অঙ্গ নাহি মনটাকেই ভালোবাসি
নির্দ্বিধায় বলি তুমি মিথ্যার পুজারী।
সত্য বলি, নারীর স্তনে আকর্ষিত হই
মনকে ছুঁয়ে বাঁচি।
যদিও বলো অসভ্য-বেহায়া অতি।


মোহাম্মদপুর, ঢাকা
২৩.০৬.২০১১