ভুলে ভুলে হিমালয় ছাড়িয়ে গেছে ভুলের সমাহার
পাপে পাপে জর্জরিত দেহ-মন, যত আচরণ
ক্ষমা পাওয়ার যোগ্যতাটুকু হারিয়ে ফেলেছি সেই কবে!
কোন মুখে বলো মাগো তোমার সম্মুখে দাঁড়াই?
কোন মুখে বলি মা, আমার গর্ভধারিণী একটি বার ক্ষমা করে দাও।


আমিতো কখনো বায়েজিদ বোস্তামির মতো
তোমার মুখে তুলে দেইনি এক ফোঁটা পানি,
একটি সেকেণ্ডও জেগে থাকিনি তোমার বিন্দুমাত্র সেবায়;
তোমার কষ্টের কথা ভেবে ফেলিনি কভু দুফোঁটা চোখের জল
কখনও তোমার বুকে মাথা রেখে জানতে চাইনি মাগো
তুমি কেমন আছো? তোমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে তো মা!


আমি তো কখনো উপলব্ধি করিনি মাগো
তোমার গোপন যন্ত্রণা, কোনো দিনও জানতে চাইনি মাগো
কেন মাঝে মাঝে তুমি হও আনমনা? কোন অসুখ তোমার
ভেতর মাগো দিনরাত দিচ্ছে হানা? কিইবা চাওয়ার তোমার,
ইচ্ছে-অনিচ্ছার কোনো কিছু? কিইবা স্বপ্ন-সাধ, বাসনা?


অথচ এই কুলাঙ্গার সন্তানের জন্য তোমার দানের কথা
পৃথিবীর সব সন্তানেরই সমান জানা,
সন্তানের মুখ দেখেই পড়ে ফেলতে পারো মাগো
ভুলে ভরা পাপী এই সন্তানের মনের সব পাঠ;
কেমন হতভাগা সন্তান আমি মাগো
তোমার মুখ দেখে কিছুই পারিনা করতে পাঠ।


কোন মুখে বলো মাগো তোমার সম্মুখে দাঁড়াই,
কোন মুখে বলি মাগো একবার বুকে টেনে নাও,
কোন মুখে বলি মাগো কেমন আছ, কেমন আছে তোমার শরীর?
কোন মুখে মাপ চাই, বলি- ক্ষমা করো মাগো আমায়।


আমার মন চায় মাগো সারাটাক্ষণ
তোমার পায়ের কাছে পড়ে থাকি,
তোমার পায়ে চুমু খাই, কপালে তোমার পায়ের ধুলো মাখি
তোমার বুকে আশ্রয় নেয়ার সাহসটুকু
এই পাপী সন্তানের নাই, তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে
বলবার বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই ক্ষমা চাওয়ার।
পৃথিবীর তাবত পাপী সন্তানদের মাগো তোমার পায়ের কাছে আশ্রয় দাও।


মোহাম্মদপুর, ঢাকা
১৮.০১.২০১৩