সময় কম নয়, তবু সুখের চাদর বুঝিবা
খুব সামান‌্যেই খসে যায়; হালকা
ডানা ঝাপটায় কখনো কখনো
ঝরে পরে পায়রার পালক যেমন।


আমি দুঃখ বিলাসী ছিলাম আদি-অন্ত
তাই বলে সুখের প্রতি লোভ কম
দেখিনি কখনো নিজের ভেতর।


হাউ-মাউ করে চিৎকার করে
বুক ভাসাইনি কভু নোনা জলে,
তবে ভেতরে যে একটা নোনা-
সমুদ্র বহমান, অবিরত স্নান
তার জলে।


দূরে ভাসা সাদা মেঘের পালক
ছুঁয়ে কখনো কখনো মনটা
হয় আপ্লুত, কখনো পুলকে পুলকে
বিমোহিত। তবে আয়ু তার বড় কম।


সুখের সাদা মেঘে মন ভাসাতে
না ভাসাতেই গর্জে ওঠে ভেতরে
বহমান নোনা সমুদ্রের জল,
নিমিষেই ডুবে যায় হঠাৎ উঁকি দেয়া
রূপালী চাঁদ। সুখ বড় বেশি উদাসী
বড়ই খেয়ালী সে।
সুখ কাতর মানুষের চাদর হাতে
অবিরাম খেলছে সে কানামাছি।


বরিশাল
২৯.১০.২০০৬