তারপরও ভালোবাসি, ভালোবেসে যাই।
সাধ্য-অসাধ্যের হিসেব আজ উড়ে গেছে
সূতোকাটা ঘুড়ির মতো অজানা আকাশে।


তোমাকে দেখার পর কেন জানি ইচ্ছে হল
নিজের ভেতর যতটুকু ভালোবাসা
যতনে আছে পোষা, দীর্ঘকাল ধরে
মায়াময় স্বপ্নের মতো;
সবটুকু দিয়ে দেই অবলীলায়।


তাই ভালোবাসি, ভালোবেসে যাই
অসাধ্যেরও অসীম সীমায়।


এই ভালোবাসাটুকু যেন থমকে না যায়
অজানা কোনো ঝোড়ো হাওয়ায়,
কোনো মিথ্যে শঙ্কায়, কোনো ভুলের
বেধরক বাঁধায়।


নিজেকে উজাড় করে করে পুরোপুরি
আজ দিয়েছি তোমায়, এতটুকু
ছায়াও পাইনা খুঁজে;
অস্তিত্বের ফুটন্ত পুস্পে এখন কেবল
তোমারই সৌরভ আছে
অলির মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে।


যদি হারিয়ে যাও খুনাক্ষরেও
কোনো কুক্ষণে-


অস্তিত্বের পুস্প কানন বুঝিবা ভরে যাবে
দুর্গন্ধময় বন্য ফুলে।
এই আমার ভেতর জন্ম নেবে অন্য
এক আমি'র, হয়তো বা সেই আমার
চোখ রবে দৃষ্টি হবে অমবস্যার
ঘোর তরঙ্গ।
বুকের ভেতর এই মায়মায় উঠোন
হবে '৭১ এর বধ্যভূমি।
হয়তো বা একটা মানুষ হয়ে উঠবে
নৃশংস অমানুষ। হয়তো থমকে দাঁড়াবে
আমার পৃথিবী।


সব সংশয়ের শৃঙ্খল ভেঙ্গে
তোমার ভেতর ডুবে আছি, ডুবে থাকি
অবিরত। সাহস কুড়াই দুহাতে
কেবল এগিয়ে যাব যতদূর দৃষ্টি
আছে ছড়িয়ে স্বপ্নের ভেতর।


০৮.১২.২০০৬