হঠাৎ একটু ঝোড়ো হাওয়া
হিমালয় থেকে ছিটকে ফেলে দেয়
তার অতল তলে। মনে হয়-
নাটাই বিচ্ছিন্ন একটা ঘুড়ি।
ঘুরতে-ঘুরতে নেমে আসে
হালকা পালকের ন্যায় মৃত্তিকা বুকে।
চৈতের খাঁ-খাঁ রোদে কাঠশুকনো
তার দেহের অবয়ব।
জীবিত থেকেও এক মৃত কঙ্কাল
মৃদ‌ু বাতাসে নড়ে ওঠে তার দেহ
লুটে পড়ে মৃত্তিকা কোলে।


অনেক কষ্টে জেনেছি বাতাসী নাম তার
মানুষ তাকে ডাকে বাতাসী বুড়ি,
বাতাসের তালে-তালে তার পথ চলা।
ক্ষুধার অগ্নিজ্বালা পেটে
একমুঠো অন্নের আশায়
যখন সে ছুটে যায় মানুষের দ্বারে দ্বারে
পাগল বলে দুর দুর তাড়িয়ে দেয় মানুষ।


ভীষণ অপমান হয় আজ মানুষ বলে,
মানুষের সাথে মানুষের এ কী ব্যবহার!
অন্নেভরা পৃথিবীতে বাতাসীর মতো বুড়িদের
জোটে না একমুঠো ভাত!
হয়রানি, গলাধাক্কা খেয়ে
কেটে যায় তাদের জীবন।


মানুষে মানুষে এমন অধম আচরণ হলে
অচিরেই এমন হাজারো বাতাসী বুড়িতে
ভরে যাবে পৃথিবী।


১৭ই ফাল্গুন,  ১৪০৭।