(সাভারে রানা প্লাজা ধসে প্রাণহারা শতাধিক মানুষের স্মরণে)


‌"ভাই আমারে বাঁচান, আমার হাতটা কাইটা
অইলেও বাঁচান ভাই, আমার পা টা কাইটা
অইলেও বাঁচান! অনেক মানুষ এখনও জীবিত
আটকে আছে, অগোরে বাঁচান, অগোরে বাঁচান"
এমন বুকফাটা আর্তনাদে ভারি আজ
সাভারের আকাশ বাতাস।


লিখতে গিয়েও হাতটা আমার কেঁপে উঠছে বারবার
এমন মর্মছেদী মৃত্যুর মিছিল মাটির চোখে
কতক্ষণ দেখা যায়! বুক ভেঙ্গে যায়, আমার
ভেতর প্রবাহিত অক্সিজেন বারবার থেমে থেমে যায়।


মানুষ নামের সেইসব দানবেরা যারা ডেকে এনে
কেড়ে নিল এতোগুলো মানুষের তেজদীপ্ত প্রাণ
তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করি-আর কতোগুলো
গার্মেন্টসের মালিক হতে চাও? কতো কতো
বাড়ি বানাতে চাও? কতো ব্যাংক ব্যালেন্স হলে পরে
থামবে তোমার এই মৃত্যুখেলা?


যাদের শ্রমের আয়ে আজ দামী গাড়ি হাকাও
বিলাসবহুল বারে ডুবে থাকো রঙিন পানির ঘোরে,
গুলশান, বনানী কিংবা উত্তরায় গাঁথো ইটের পরে ইট!
এই দিলে তাদের প্রতিদান! এমন শোকের-তাপের
মর্মভেদী অকাল মৃত্যু!


কী শাস্তি দেবে তোমাদের সরকার আমি জানিনা,
শ্রমিক আইন তোমাদের কতটুকু পাকড়াও করবে
অতীতে তাও অবলোকন করেছে বিচার প্রার্থী।
তবে ভগবানের বুঝি আর বসে থাকার সময় নেই!
দেশের ভগবানেরা যদি আজও ব্যর্থ হও
তবে অচিরেই তোমাদের ঘাড় মটকাবে আসল ভগবান।


২৫.০৪.২০১৩
মোহাম্মদপুর, ঢাকা