"বিরহ যাপনে"


তুমি বড়ো বেশি পটু বিরহ যাপনে
আমিতো চাইনা কোনো বিরহ তোমায় ছুঁয়ে থাকুক
জানালা খুলে নিয়ে আসি তোমার জন্য রাশি রাশি রোদ্দুর
তুমি কেবল মেঘের পানেই আপন মনে তাকিয়ে থাকো
যখন দুহাত ভরে গোলাপ এনে দেই-
কেন যে বার বার কাঁটার কথা বলো!
আমি তোমার মুখে দেখতে চাই মধুপূর্নিমা
তুমি হাত বাড়িয়ে অমাবস্যাকেই করো নিমন্ত্রণ।


"লাজুক"


এতো কেন লাজুক তুমি নীলিমা
হাত ছুঁতেই লজ্জাবতি লতার মতো গুটিয়ে যাও!
তোমার জন্য মেঘালয় থেকে এনেছি ঝরণার জল
স্নান শেষে দুজন লেকের জলে ভাসাবো নাও।


"স্বপ্ন আঁকি"


আমি স্বপ্ন আঁকি
তুমি তাতে মাখাও রং,
যখন তুলি ছোঁয়াই
দেখাও তুমি ঢং।
তবু ভালোবাসি রং ,
কখনও কখনও বড়ো বেশি
ভালোলাগে
তোমার এইটুকু ঢং।


"মাঝে মাঝে"


মাঝে মাঝে বেহায়া পবন
দোলায় মন
বুকের দেয়ালে ঝোলানো ছবিটা
জাগায় কাঁপন
হয়তো আরো ভেতরে
যেতে চায় মন
হয়তো অধিক ভালোবাসি বলেই
হয় এমন


"ভালোবাসি খুব"


আচ্ছা, আমি তবে চুপ
যতোই রাগো না তুমি
তোমায় ভালোবাসি খুব।


কথায় হয়তো বাড়বে কথা
বলে ফেলবে হয়তো যা-তা
আমি তখন কষ্ট পাবো খুব।


"বাতায়ন রেখেছি খুলে"


বাতায়ন রেখেছি খুলে
তোমার গায়ের গন্ধ যদি পাই,
হেয়ালি করুক লোকে, যে যাই বলুক
অামি তো তোমাকেই চাই


"ভালোবেসে"


ভালোবেসে যখন বাড়িয়েছি হাত
একরাশ অবিশ্বাস
সরিয়ে দিলো তোমার হাত।
যদি ভালোইবাসো
তবে কেন এই অবিশ্বাস?
আমি তো আপদমস্তক বিলাতে পারি,
তুমি কেন সামান্য হাতটুকুও
সরিয়ে নাও!


"চাপে পড়ে"


যতো সব অখাদ্য খেয়ে যাচ্ছি চাপে পড়ে
নিয়মিত হচ্ছে বদহজম
অপেক্ষায় থাকুন যারা খাওয়াচ্ছেন
পরিনাম নিশ্চয়ই হবেনা শুভম্


"তোমার আঁচল"


একটি নদীর কাছে চেয়েছিলাম দু'ফোটা জল
নদীটি আমায় ভিজিয়ে দিলো,
জড়িয়ে রবো বলে যখন চেয়েছি তোমার আঁচল
পৃথিবী মেঘে ঢেকে গেলো।