"নীলিমা! তোমার উষ্ণ নিঃশ্বাস"


তোমার আরশিতে বারবার খুঁজেছি নিজের মুখ
শীতের ধুম্র কুহেলিকা আছড়ে পড়ে সে আরশিতে,
গাড়ির কাঁচ মোছা হাতদুটি অবিরাম মুছে যায় কুহেলিকা
আবছা আলোয় যেটুকু ভেসে ওঠে অবয়ব
নিজের অস্তিত্ব মেলাতে পারিনা।


নীলিমা! তবে কোথায় রেখেছ ভালোবাসা?
হৃদয়ের কোন কুটীরে বন্ধ জানালায়?
টবে ফোঁটা রঙিন গোলাপের মতো চেয়ে আছে মন
তোমার উষ্ণ নিঃশ্বাস যদি একটিবার ছুঁয়ে যেত আমায়!


"চেয়ে দ্যাখো নীলিমা!"


চেয়ে দ্যাখো নীলিমা! দু'হাত ভরে এনেছি
রাশি রাশি হলুদ গাঁদা,
একটা হলুদ শাড়িও এনেছি লুকিয়ে
যদি সায় দাও তো সাড়া অঙ্গে তোমার হলুদ জড়াই।


এক শীতের বিকেলে তোমার খোঁপায় ছিলো
একগুচ্ছ হলুদ গাঁদা, একটি হলুদ পাখি দেখে
নেচে উঠেছিলে তুমি, হলুদ তোমায় এতোটা
পুলকিত করে-এতোটা দোলায় তোমাকে!


মনে মনে তোমার জন্য একটি হলুদ পৃথিবী বানিয়েছি
তোমার পুলক দেখে দেখে বাকীটা জীবন কাটাবো বলে।


"নন্দিত নীলিমা!"


চোখ মেলে দ্যাখো নক্ষত্রের নন্দিত নীলিমা!
ভেতর বাড়ি তোমার কী দিচ্ছে দোলা?
শুকনো পাতার নূপুর নাকি শিশিরের ছন্দ!
সময় হয়তো মন্দ, সব দ্বন্দ্ব বিভাজন ভুলে
তোমার তীরেই ভিড়িয়েছি ভালোবাসার নৌকো,
এ বালুচরে একটিবার ফেলে দ্যাখে পা
নির্ঘাত এ মরুদ্যান ভরে উঠবে সফেদ কাঁশফুলে।


"তোমার এই নিরঙ্কুশ হাসিটুকু"


কোনো একদিন পাহাড়ি ঝরণা আমায় মুগ্ধতা দিয়েছিলো
পাখিদের কণ্ঠ দিয়েছিলো কিঞ্চিৎ প্রশান্তি
প্রজাপতির পাখায় পাখায় খুঁজেছি তবু মোহময় মুগ্ধতা।
সব কিছুই হারিয়ে দিলো তোমার এই নিরঙ্কুশ হাসিটুকু
পলকহীন চেয়ে আছি, এ হাসিটুকুই ভুলিয়ে রাখে
আমার সব না পাওয়ার বেদনা।


"তোমাকেই দেখতে পাই"


বারান্দায় উড়ে আসা চড়ুইয়ের উচ্ছলতা
বারবার তোমাকে মনে করিয়ে দেয়,
ভুলে যাবার বাহান্ন রাস্তা বাতলে দিয়েছ আমায়
কিন্তু এই চড়ুঁইকে কী করে থামাই বলো!
আমি তো বারান্দায় তোমাকেই দেখতে পাই।