প্রভৃ-আমার মহান প্রভৃ- তোমাতেই মোর নিবন্ধিত প্রাণ
জাতিতে বাংলাদেশী- বিশ্বাসে মুসলমান।
জীবনের পড়ন্ত বেলায়- মন যেন জিজ্ঞাসিতে চায়
বিশ্বাসের বিপরীতে যা কিছু আছে- চলে এই ঠায়।
এখানেও ফ্যাসাদভারী- কেউ বাংলাদেশী কেউ বাঙালী
এ নিয়েও গোলমাল খুনোখুনি- চলে মারা মারি।
অথচ বলেছ তুমি- প্রতিটি মুসলমান একে অন্যের সহোদর
এখানেও বিভাজন- কেউ মুক্তিযোদ্ধা, কেউ আলবদর।
শুনেছি কোরানের বাণী- তুমিই একমাত্র ক্ষমতাধর
এদেশে ক্ষমতাসীনরাই- বনে যায় অঘোষিত ঈশ্বর।
তোমার রয়েছে আজরাঈল- এদেশে যৌথবাহিনী
উভয়য়েরই কাজ-মানুষের জীবন বধ-সে এক করুন কাহিনী।
শুনেছি গোর আজাবের কথা- তবে তা পাপীদের মৃত্যুর পরে
রিমান্ডের আজাব ঢের বেশী- যা এদেশে চলে।
প্রভূ! আজাবের ফেরেস্তা হতে আমাদের পুলিশই চৌকস অতি!
তাই মনে হয়, হাবিয়া দোজখ হতে- বাড়ন্ত জনতার দুর্গতি।
শুনেছি তোমার রয়েছে আদালত- বান্দার বিচার তরে
এখানেও রয়েছে আদালত- প্রায়শ মুখ দেখে বিচার করে।
প্রচন্ড গুনাহগার, বনে নেককার হয় যদি দলীয় লোক
রহমতের পায়ে ডান্ডাবেড়ি- আজাবেই প্রতিশোধ।
পূণ্য বিকোয় অর্থের বিনিময়ে পার্থিব ফেরেস্তা ঘুষ খায়
অর্থ আর দলীয় সনদে- গুনাহগার মুক্তি পায়।
‘পাপীরই হবে সাজা’- বলে তব সংবিধান
এখানে পাপীর স্বজনরাও পায় না পরিত্রাণ।
একটি ওয়াদা ভঙ্গের জন্য আজাজিল বনে যায় শয়তান
এখানে হাজারো ওয়াদা ভঙ্গের দেব-দেবীদের- করতে হয় পদ চুম্বন।
প্রভূ! বলো তুমি, নরক অদৃশ্য নয়- নরক বাংলাদেশ
আর কোন গোর আজাব নয়- এ আজাবেই শাস্তি মোদের শেষ
সর্ব শক্তিমান কেন এমন হয়? -আমার সীমিত অন্বেষন
মনে হয় পার্থিব ঈশ্বর- চালায় হেথায় দ্বৈত শাসন।