শুনছ ওগো খোকার বাবা- তোমার ছেলের কাণ্ড কারখানা
নিত্য নালিশ তার বিরুদ্ধে- মুখ দেখানো যায় না ।
ঘরে সবার পকেট মারে- রাস্তায় মারামারি
জিজ্ঞাসা মিথ্যে শপথ- বনছে মিথ্যেবাদী।
দেখছি এখন নিত্য ঝিমো- নেশার প্রতি টান
ভবিষ্যৎ তার দেখছি আঁধার- অতিষ্ঠ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
তার গুরুজন ভয়ে ভীত- সদা তার মারমুখো ভাব
নিত্য তাকে কত বুঝাই- বদলে না স্বভাব।
সেদিন দেখলাম অস্ত্র হাতে- করছে দাড়িয়ে
সন্ত্রাসের এ রাম রাজতন্ত্র- নিচ্ছে হাতে খড়ি।
তুমি তো ভাই ছেলের বাবা- শাসন কর তাকে
কখন কি যে করছে কখন- কখন কোথায় থাকে ।
বুঝতে কি গো পারছ তুমি- আমার মনের ব্যথা
কোন মানসে ফাঁসছ তুমি- বুঝছ আমার কথা?
স্বামী কহেন, “ও বিবিজান- শুনছি সবই আমি
এ ছেলেটি যুগের ফসল- জানেন অন্তর্যামী।
এখন লেখাপড়া ক্লাব গোনা- নকল শিল্পে পাশ
অর্থ বলেই চাকরী মিলে- নাহয় হতাশ।
ছেলে আমার বাস্তববাদী- বোধ বিবেক তক্ক-
অবলীলায় মিথ্যা বলে- রাজনীতি তার লক্ষ্য।
জ্ঞানী এখন দেশান্তরী- দেশ দেশপ্রেমিক কারাবাস
নিয়ম নীতির কথা বলে- করোনা তার সর্বনাশ ।
খুদিও এখন সাংসদ মোদের- আছেন সেথা যাচাবার বেকারী
তাই তোমার এ কথাগুলো- ঠেকছে দরকারী।
ধর্মের নামে খুন খারাবি- সেবার নামে ঘুষ
হিসেব করে দেখাও আমায়- ছেলের কিবা দোষ ।
‘যশস্বী দেশঃ যাচনদারঃ -কহেন মুনিজন
এদেশে এমনি ছেলে- আমার প্রয়োজন।”