অ-
অজগর আসলে তেড়ে,
পালিয়ো না সাহস ছেড়ে।
ভয় পেলে সে ছাড়বে নাকো,
তাই সাহসে অটল থাকো।
ভ্যা ভ্যা করলে অজের ন্যায়,
যেনো অজগর ছাড়বার নয়।
অলি সম হুল ফুটাও,
হুল ফুটিয়ে বাঁধন ছুটাও।
আ-
আশা রেখো জয়ের তরে,
অমানিশার অন্ধকারে,
ভয় পেলে ভাই ছাড়বে নারে।
আলোর শিখা জ্বালাও অন্তরে,
দেখবে তখন অজগর,
করবে না আর অজাচার।
ই-
তাই বলি ইঁদুরের ন্যায়,
বাঁধন কাটো পাহাড় প্রায়,
দিবানিশি কুটি কুটি,
কাটলে পাহাড় যায় যে ঠুটি।
শিক্ষা নিয়া ইঁদূর হতে,
বিপদ রোখো শক্ত হাতে।
ঈ-
ঈগল যদি মারে ছোবল,
হারিও না মনোবল।
ঈপ্সিত লক্ষ্যে স্থির থাকো,
ইস্পাত দৃঢ়তায় তারে রুখো।
মনোবলের বর্ম পরে,
বাস করো এ শ্বাপদ  নগরে ।
উ-
উটের মত উর্ধ্বে করি উচ্চশির,
নিজ কর্মে থাকো স্থির।
উষা আসবে জেনে রেখো
অমানিশা থাকবে নাকো।
ঊ-
নিস্তরঙ্গ নয়তো জীবণ,
ঊমি মালা আসবে যখন,
হাল ধরবে শক্ত হাতে,
শত আপদ বিপদেতে।
ঋ-
দেখো
ঋতু চক্রের আবর্তন,
দুঃখ সুখের ঘূর্ণন,
সাধু ঋষি সাজে কেহ,
সত্যি কারের ঋষি কেহ।
সত্য ঋষি চিনে নিয়ো
ঋজুতায় অটল থাকিয়ো।
ঋণ করিওনা কদাচন,
ঋণই হীনতার কারণ ।


এ,ঐ,ও,ঔ-


একা একা নওকো তুমি,
এ ধরা মন্দ ভালোর চরণভূমি।
দেখবে ঈগল আর অজগর রূপি,
আছে কত বহুরূপি।


ঐ সব বহুরূপির রূপের মাঝে,
যেও নাকো তুমি মোজে,
ঐরাবত সম বল ধরবে মনে,
যুঝো প্রাণ মনে বহুরপী সনে।


ওরা পালাবে ছেড়ে জুঝাজুঝি,
নীতিহীনতাই ওদের পুজি।
রুখবে ওদের শক্ত হাতে,


ঔদার্য আর ঔচিত্যকে সাথে রেখে,
এই ঔষধেই হবে কামাল,
ঔদাসীন্যে ফলবে বিফল।।