[যা বলার তা যায় না বলা
তাই করতে হয় এ ছলা কলা]


শুক চঞ্চু স্খলিত হয়ে মাতৃ জটর পেরিয়ে জরাজীর্ণ ধংসস্তুপের ইটের কোটরে পেল আশ্রয়।
ধীরে ধীরে অতি ধীরে মেললো নয়ন, দুটি পাতা একটি কুঁড়ি।
শুষে নিলো ধংস্তুপের সব রস।
ভগ্নস্তুপ, হারাবার কিছু ছিলো না, দিলো উজাড় করে।
ঊর্ধ্বে নিম্নে দু’দিকেই বিস্তার।
কাণ্ডে, কাণ্ডে প্রকাণ্ড হয়ে উঠলো।
শাখায়, প্রশাখায় কত পাখ পাখালির কূজন।
দীনহীন শিশুদের ওয়ান্ডারল্যান্ড, শিশূপার্ক, তীর্থস্থান ।
ঘর হারাদের ঘর।
ধংসস্তুপ,
একদিন ছিলো,প্রাণের স্পন্দন, জাগলো আবার প্রাণ বন্যায়।
****
মার্বেল পাথরের ব্যালকনিতে সযত্নে লালিত হাস্না হেনা আর বনসাইয়ের জল যোগানে বনরবজী আজ বড় ক্লান্ত।
***
হে অজ্ঞাত কূলশীল অশ্বথ,বিস্তারিত করো তোমার কাণ্ড।
ধংসপ্রায় এ বনরাজীকে জাগিয়ে তোলো।
শ্যামল বাংলা আবার ভরে উঠুক, শ্যামলিমায়। প্রাণ বন্যায়।