একদিন সবাই আমরা প্রকৃতির সাথেই ছিলাম  মিশে
হয়তবা অন্য কোন পরিচয়ে অন্য কোন পরিবেশে।
আবার প্রকৃতির নিয়মেই বিচ্ছিন্ন হলাম আমরা,
ছিটকে পড়লাম এক এক দিগন্তে একেক জন।


কখনও কখনও সেই স্মৃতির গহ্বর
সেই প্রকৃতির কিছু স্মৃতি নাড়া দেয় আলতো করে।
তখন আমরা আমাদের স্পর্শকাতর অনুভূতির দিয়ে
অনুভব করি তাদের।


কখনও কখনও তা অনুভূতিতে আসে,
কিন্তু বাস্তবের সাথে মেলাতে খুব কষ্ট হয়।
আমিও বাতাসে যে ভাবে দোল খাই
সেই তো সেই ভাবে দোল খায়, নড়ে ওঠে,
মাঝে মাঝে কাঁদে আমারই মত।


আমি যেভাবে আমার পরিবারের ছায়া হয়ে থাকি
আশ্রয় দিয়ে থাকি অন্যদের,
সেও  তো অন্য কারোর ছায়া দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অনন্ত কাল,
আশ্রয় দেয় অন্যদের শীতলে ভরে দেয় তাদের মন,
তাহলে অমিল কোথায় তার সাথে আমার?


অমিল হয়তবা ওখানে, যেখানে আমার স্বার্থ
সেখান থেকে আমি আমাকে সরাতে পারি না।
আমি আমাকে ছাড়া আর অন্য কোন কিছু চিনিনা,
জানিনা, বুঝিনা, শুধু আমার আমার করে
বিষিয়ে  তুলেছি আমি আমাকেই, আমার মনের অজান্তে।


যার সাথে আমি মিশে যেতে চাই সে তো আমার মত না
সে তো আমা থেকে অন্যরকম,
তার যা আছে আমার তো তা নেই।
তাহলে কেমনে আমি মিশিব তার সাথে?
হয়ে যাব একাকার, আদৌ কি তা হবে?