কর্ম ব্যস্ততা আর প্রতিকূল পরিবেশ ভুলিয়ে রেখেছিল
অনেকদিন হারিয়ে যাওয়া অতীত সব স্মৃতিগুলো।
যে স্মৃতিগুলো আজ মানষপেট  
জেগে উঠার মাধ্যমে দোলা খেল
অফুরন্ত উৎফুল্ল, ভালবাসা আর আবেগে।


হারিয়ে গেলাম ক্ষণিকের জন্য সেই দুরন্ত দিনগুলির মাঝে।
বাধা, মুক্ত/স্বাধীন, ভালবাসা, শাসন,
আদর সবকিছুই মিলিয়ে ছিল যেন আমাদের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ।
কখনও এই সব দুরন্তপনা র কারণে পালিয়েছি দাদীর শাড়ির আচলের আড়ালে।
দাদির সেই শাড়ির আচল টাই ছিল আমাদের জন্য বড়  প্রাচীর।

সেই প্রাচীর অতিক্রম করার মত শক্তি বা সাহস ছিল না আমাদের বাবা ও মায়ের।
আবার সন্ধায় সেই শাসনকারী মায়ের আচল টাই ছিল স্নেহের বাঁধন
আর বাবার হাত দুখানি হতো আদর মাখানো সোনার কাটি আর রুপার কাটি।


সোনার কাটি আর রুপার কাটি আর স্নেহের আঁচলে জড়িয়ে
কখন যে ক্লান্ত মাখা ছোট্ট শরীর ঘুমের রাজ্যে গিয়ে
আবারো এই দুরন্তপনা খেলা গুলিতে মেতে যেতাম।


ঘুমের ঘোরে খেলার বহি প্রকাশ ঘটত আবার কখনও স্বপনে।
মা তখন মধুর মুখে মিষ্টি ছোঁয়ায় মিষ্টি আদরে বলত
ও আমার লক্ষী সোনা এখন ঘুমাও কাল আবার খেলবে।

আহরে সেই দিনগুলি যদি আবার ফিরে পেতাম ।
পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ, শাসনের কাছে জর্জরিত,
দায়িত্বের ভারে অবনত, নিরলস পরিবেশ,
যন্ত্র মানবের আচারন, ভালবাসা হীন হৃদয়ের প্রতুলতা।


মৃতপ্রায় ভাল মানুষদের আবাস স্থল,
বন্ধুশুন্য মাঠ, হাসি কান্নাহীন নির্জন পরিবার ছেড়ে
আবার হারিয়ে যেতে চায় মন সেই দুরন্তপনা ছোট্ট বেলার সেই দিন গুলির মাঝে।