পবন বাবুর নাম শুনেছো,বরিশালে বাড়ি,
নদীর ধারের রাস্তা ধরে,মাঠের আড়াআড়ি।
ছোট্ট মাটির ঘর যে তাদের,আম গাছটার নীচে,
সামনে সারি,সুপুরীর গাছ,তালের পিছে পিছে।


পেছন দিকে ,তেঁতুল তলায়,আনারসের সার,
থোকা থোকা,কুন্দ ফুলের,আনন্দ সম্ভার।
মেঠো পথে,আজ চলেছি,পবন বাবুর বাড়ি,
বাড়ছে বেলা,পা চালাচ্ছি,তাইতো তাড়াতাড়ি।


উনি ভালো গাইতে জানেন,ভাটিয়ালির সুরে,
ওই তো,ওনার,খর দেওয়া চাল,যাচ্ছে দেখা দূরে।
কালকে রাতে ,জলসা আছে,কমলডাঙা গ্রামে,
ওনাকে তাই ,ডাকতে এলাম,বরিশালের ধামে।


এইতো আমি এসে গেলাম,ঐতো ওনার ঘর,
ওমা সব,চুপচাপ যে,একটু লক্ষ কর।
সামনে দেখি বিরাট তালা,পেছন দিকে যাই।
এতো ভারী মুস্কিল ভাই,কেউ কোথাও নাই।


ওই যে দেখি,আসছে দাদু,শুধিয়ে ওনায় দেখি,
ওহে দাদু,পবন বাবু,নেই গো বাড়ি,সে কি?
দাদু বলেন,পবন ছিল,ভাটিয়ালির সুরে,
অর্কেস্টার ডি যে এসে,পাঠিয়ে দিল দূরে।


এখন পবন ঝড় হয়েছে,ভাঁটা গেছে সরে,
নাইট ক্লাবে,গাইছে ডি জে, আর ফেরেনা ঘরে।
হারিয়ে গেছে ভাটিয়ালি,বাউল,টুসু, ভাদু,
ডি জে র সুরে,গেছে ভিজে,ছেলে মেয়ে দাদু।
নন্দকুমার।।02/03/19