শ্যামা মেয়ে
           সুদীপ সিনহা
       সেদিন ছিল শনি বারের বিকেল
       চাঁপা আলো মেঘের কোলে কোলে,
       ঈশান কোনে মেঘে ঝড়ে কি খেল
         তুমি মাঠে একলা  টি কি বলে।
                মেঘের ঘটায়    বর্ণ ছটায় জ্বলে
                কালো ধেনু       ডাকছে থাকি থাকি
       আকাশ পানে তুমি        তাকিয়ে ছিলে
     আমার পানে তাকিয়ে       ছিলে নাকি।
   আকাশ পানে মেঘের ঘন ঘটা
কালো মেয়ে কৃষ্ণ কালো চোখে।
   দুচোখ জুড়ে এ কি নীরবতা
       তাকিয়ে ছিলাম,আমি অপলকে।
              হটাৎ দেখি গুরু গুরু স্বরে
               মেঘের কোলে কান্না    ধারা ঝরে,
               ধেনু টিরে কেমন     আদর করে
               শ্যামা মেয়ে চললো ছুটে ঘরে।
            আমি তবু        তাকিয়ে ছিলাম একা
          ওই তো দেখি মেঘের কোলে কোলে
        শ্যামা মেয়ের রূপ গিয়েছে দেখা
      আমার চোখে কি গেল সে বলে।
    ওই যে গাঁয়ের পথের প্রান্ত টিতে
  আমার মনটি আজও পড়ে আছে।
শ্যামা মেয়ের চোখের দৃষ্টি নিতে
  আমার দৃষ্টি মেঘের কোলে নাচে।
    তোমরা যদি তাহার বাড়ি জানো
        একটু বলো তাহার কানে কানে,
          আমি কিন্তু  অপেক্ষায় এক্ষনো
          সেই দুটি   চোখ ভীষন রকম টানে।
          কালো তা   সে যতই কালো হোক
         হরিন চোখে   দেখেছি মাদকতা।
         কালো তাকে   বলে বলুক লোক
         সে যে আমার   কৃষ্ণকলি কথা।
        তাহার জন্য         আমার আকাশ আছে
          তাহার জন্য ধেনু   আজও ডাকে।
             তাহার দৃষ্টি      আমার বুকের মাঝে
             তাহার কথা      কালো মেঘের ফাঁকে।
             আমার দৃষ্টি     তাহার দৃষ্টি জুড়ে
             আমার আকাশ    তাহার আকাশ খোঁজে
          আমার এ চোখ      বিশ্ব ভুবন ঘুরে
        তাহার চোখের        পাতাতে চোখ বোজে।