সন্ধে হলে
     সুদীপ সিনহা
সন্ধে নামার সময় হলে মাঠে,
সূর্য্যি মশাই বসেন,আকাশ পাটে।
চাঁদের বুড়ি, নিকিয়ে আকাশটাকে,
তারা গুলোয়,বসায় থাকে থাকে।


দোলনা করে ,মেঘের সুতো দিয়ে,
অনেক রাতে,দুলবে সেথায় গিয়ে।
সন্ধ্যা তারা,ঝিক মিকিয়ে হাসে,
গোধূলি ওই ,আঁধার হয়ে আসে।


গরু বাছুর যা ছিল ওই মাঠে,
দল বেঁধে সব ফেরে আপন বাটে।
রাখাল ছেলে,সারাটা দিন শেষে,
আপন কুলায়,ফিরল বুঝি এসে।


পাখিরা সব,বিপুল কলতানে,
আপন নীড়ে,ফেরে ঘরের টানে।
তীরের থেকে,দূরের তরী খানি,
মাঝি বুঝি,তীরে নেয় যে আনি।


মেঠো পথে ,আঁধার হলো দেখি,
ঝোপে ঝাড়ে, জোনাক মারে উঁকি।
ঝিল্লি তাহার,যন্ত্রী বাঁধে সুরে,
শেয়াল বুঝি,উঠলো ডেকে দূরে।


গাঁয়ের বধূ,মাথায় কাপড় দিয়ে,
তুলসী তলায়,প্রদীপ ধরে গিয়ে।
শঙ্খ ধ্বনি,এ পাড়া ও পাড়া,
মঙ্গল ধ্বনি,উলুতে উঠলো সাড়া।


ঘরে ঘরে,পোড়োর গলার স্বরে,
স্বরস্বতী ,আপনি বিরাজ করে।
শান্তি আসে,সোনার পৃথিবীতে,
সন্ধে হলে,সোনায় এ গাঁও টিতে।


রাধামনি।।10/02/20