নদী- নদী
               সুদীপ সিনহা
এই যে নদী, কেমনতর, ছলাৎ ছলাৎ গান,
বুকে কি তোর দুঃখ বাজে,নাকি অভিমান।
জোয়ার এলে কিসের ছলে,উঠিস ফুলে রোজ?
দিব্বি আসিস হেলেদুলে, কিসের করিস খোঁজ?


     ভাঁটার টানে ,কি সন্ধানে, এমনতর মুখ,
     কি যে ভাবিস,কে তা জানে,দেখেই লাগে দুখ।
     উঠলে হাওয়া, তরী বাওয়া,পালটি তুলে একা,
       জলের ওপর, আঁচড় কাটিস,কি ওখানে লেখা।


তোর সাথে তোর ,নৌকা চলে,আগে কিংবা পিছে,
নুড়ি গুলোও চলছে কিন্তু, একটু দেখ নীচে।
মাছের ঝাঁকে,ডাকছে কাকে,ঐযে দেখ ওই,
ওমা ,হঠাৎ হারিয়ে গেল,পাচ্ছিনাতো কই।


       সকাল হলে ,তোমার জলে,সুর্জি মামার রঙে,
     আকাশ রাঙায়, জামা তাহার,দিব্বি তো রঙচঙে।
      সারা দুপুর রং পাল্টাও, লালের থেকে নীল,
       তোমার বুকে,ছায়া আঁকে,মাঝ দুপুরের চিল।


খিল দিয়ে রোজ,দুপুর ঘুমায়,গ্রামের থেকে শহর,
তোমারও তো দুপুর ঘুমে,বেশ বেড়েছে বহর।
বিকেল হলে,কিসের ছলে,বেশতো সাজো দেখি,
ওমা,কেমন সন্ধে হলো,সন্ধে দাওনি একি!


           এইতো কেমন ঘোমটা পরে,পাড়ের থেকে পাড়ে,
           পিদিম জ্বালাও,ঝিকিমিকি,গাছের আড়ে আড়ে।
            সন্ধাতারা,আশীষ জানায়,কেমন পুবের কোনে,
           সপ্তর্ষি আর কালপুরুষ যে কিসের প্রহর গোনে।


ওই তো ,ওই তো চাঁদ ওঠেছে,পূর্ণিমা তো আজ,
তোমার জলে নদী,এ কোন,জাদুর কারুকাজ!
ঘুমোচ্ছে আজ ,সারা আকাশ,রাত্রি অনেক হলো,
নদী তুমি চাঁদের সাথে,কিসের কথা বলো!
          নিমতউড়ি।।26/02/19