বসন্তের চঞ্চল হাওয়ায় একটি পতাকা ঢেউয়ের মতো দোলছে ;
এবং এর নিচে একজন বৃদ্ধ কবি  নিভৃতে,
স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলছেন,— “ হে জন্মভূমি, —
আমি এই ভূখণ্ডে জন্মেছি,
এখানে প্রতি বছর নিয়ম করেই বসন্ত আসে,
আমি সবক’টা বসন্তকে স্বচক্ষে দেখেছি,—  সহাস্য, স্বাচ্ছন্দ্য ও  সুবাসিত;
কিন্তু কোন বসন্তই  আমাকে স্পর্শ করেনি!
অথচ আমার সহ যুদ্ধারা অনেকেই বসন্তকে উপভোগ করেছে ;
কেবল আমি একাই বসন্তের কাছে অবহেলিত!
আমার তাদের মতো একটি ঘর, একজন সঙ্গী এবং
কোন সমব্যথী প্রতিবেশী নেই,
আবাদ কিংবা বসতের  জন্য  নেই একখণ্ড জমি;


তবুও আমি এখানে একটি সুখকর অনুভূতি নিয়ে বেঁচে আছি, —
নিরাশ্রয় ,ক্ষুধার্ত এবং নিদারুণ দুঃখের মধ্যেও!
যেন আমার  মৃত্যুর পর  তোমার কোমল কোলে শ্রান্ত চোখে
ক্ষুধাহীনভাবে নিশ্চিন্তে একটু ঘুমোতে পারি ; ”


উৎসর্গ : মরমি কবি জহুর আলী।