এই জন্মের যৌবনে
আমি প্রতিক্ষমাণ মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছি  এই ভূখণ্ডে
প্রিয়তমা, কেবল তোমার প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায়;


এখানে আমার দুচোখ দিয়ে সকল আশ্চর্যময় দৃশ্য দেখছি,-
বঙ্গোপোসাগরে মধ্যে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখা,
নদীতে নতুন মর্গ, বাতাসে উচ্ছেদের ইশতেহার!
গহীন অরণ্যে অন্ধকারে ঘুমন্ত মানুষকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলা;  
পর্বতশৃঙ্গে স্বাধীন পাখিদের ডানা কেটে-কেটে আহত  এবং
ক্রুশবিদ্ধ যীশু খ্রীষ্টের মতো তীরবিদ্ধ করে হত্যা করতে;
ঈশ্বরের বিকৃত গ্রন্থের মতো সংবিধানের কাটাছেঁড়া সংশোধনী!


এসব কিছু অবলোকন করে আমার হৃদয়ে ভীতি নয়:
প্রহারে-প্রহারে সৃষ্টি হয়েছে গভীর রক্ত জখম!
কিন্তু তোমার প্রত্যাবর্তনের কিঞ্চিৎ সুখ
আমাকে সমস্ত কিছু ভুলিয়ে এমনকি মৃত্যু উপেক্ষা করে
এই ভূখণ্ডে অপেক্ষা করতে সাহায্য করে,-
প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে, এমনকি বজ্রপাতের সম্মুখে,
রৌদ্র প্রখর্য দুপুরে, তপ্ত মরুভুমে, এমনকি অগ্নিকুণ্ডে!
অবিরল বৃষ্টিতে,প্লাবিত বর্ষায় এমনকি বরফের স্রোতে !
সন্ধ্যার ধূসর ছায়ায়,রাত্রির ঘন অন্ধকারে এমনকি  নক্ষত্র বিস্ফোরণে;


কেননা আমি জানি তুমি আসবে - একটি সাদা রঙের  ঘোড়ায় চড়ে;
তোমার পিছু পিছু এক কোটি কিংবা তার ও বেশী সংখ্যার একটি বহর আসবে,- এই ভুখণ্ডে।


কিন্তু আমি জানিনা,
তোমার এই প্রত্যাবর্তনটা যুদ্ধের না কি প্রেমের?
শুধু জানি, শাহবাগে, এই শাপলা চত্বরে- ক্ষীপ্র যুদ্ধের কিংবা প্রেমের বহরটি এসে থামবে;
এবং লক্ষ-কোটি জনতার সম্মুখে
প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার কপালে অগণিত চুম্বন রেখা আঁকবে!