উষসীর রাঙা সাঁঝে গোধূলি বেলায়,
ফুটিল সন্ধ্যা-মালতি তোমার আঙিনায়।
উদিল সন্ধ্যাতারা গগনে,
সেঁজুতি প্রভায় রাঙা ভুবনে-
রাঙিলে তুমি, সেথা সেই উষসীর রাঙা সাঁঝে
মেহেদী রঞ্জিত বধূ বেশে রক্তিম লাজে।
আজি বাজে বেনুকা নাচে সবে, -
তোমার  বিদায়ী আনন্দ ঘন উৎসবে।
হে সাথী! এই বেদনা বিদুর বিদায় মুহূর্তে,
ঝরে লুঠে ফুটা প্রেমের মুকুল মলিন ধূলিতে।
সেই ঝরা কুসুমে না হয় রচি'ও তব বাসর-শয়ন,
যে ছিল চির অচেনা আজি হবে চিরচেনা চির আপন।
সেই আপনার বুকে রাখি' মাথা হে বিদায়ীনি!
মধু-বাসরে মধুর আলাপনে জাগিয়া রজনী।
সুখ স্পর্শে  আনন্দে হর্ষে উঠিবে মেতে-
ঐ নতুনের সাথে।


সাথী সেই ক্ষনে!
জানি ছিঁড়িবে প্রেম-রাখি, টুটিবে -প্রেম-বন্ধন,
মুছিবে যে ছবি মোর তব বুকে ছিলো অঙ্কন।
বিরহের অনন্ত বেদনার কফিনে-
মোর দেহ রবে মোড়ানো ধূসর কাফনে।


মনে কি পড়ে? যখন আমি বিভোর নিদ্রায়,
ভাঙালে মোর ঘুম খেলিতে খেলা হায় -
রে নির্মম প্রিয়া!
কি গভীর প্রণয়-খেলা গো জোড়ে ছিলে-
মোর সনে, আজ আধা খেলে আধা পেলে
অসমাপ্ত রেখে।ও-শত জনমের অনুরাগিনী
আমার নিষ্ঠুর-পাষাণ!
আজ আধা গেয়ে আধা ভুলে শেষ হ'লো না পুরো গান,
নিলে বিদায়। ওগো আমার তপস্যালদ্ধ সাথী
আজ বেলা শেষে অবেলায় বুঝিলাম মিছে মোর আরতি।
যে দেবীরে অর্চনা দিলাম বসিয়ে হৃদ-মন্দিরে,
বক্ষ করিল দীর্ণবিদীর্ণ বিরহ-বিষাক্ত তীরে।


(সংক্ষিপ্ত)