বিনয়ের সহিত আমার জীবন্ত সাক্ষাৎ
প্রকৃতির বস্তুগুলি আত্মার জন্ম দেয়,
ঐশ্বরিক মুখচ্ছবি,
যা আমাকে বিমূর্তভাবে দেখছে আমি জানি না কোথা থেকে,
কোন অপরিচিত জায়গা থেকে আমি জানি না
এই স্থানের বাইরে
যেখানে বৃক্ষ এবং প্রস্তর দেখা যায়।


আমি ভূত দেখছি, রহস্যের চিত্র,
কল্পনাপ্রসূত চিত্র,
সন্ধ্যায় অঙ্কিত  জ্বলজ্বল  উজ্জ্বল রূপরেখা,
অনেকটা অশনিসংকেতের  মতো;


আমি দেখেছি সুদূরে উদীয়মান পাংশুবৰ্ণের রূপরেখা
নির্জন পর্বতশৃঙ্গে অজানা দেবতার ক্লিষ্ট বিমূর্ত
নীরব ও বিষাদ একটি মূর্তি।


আমি আমার সম্মুখে বিস্ময়কর সব উপস্থিতি দেখি,
স্বপ্নের দিগন্ত যে আমাকে বেঁধে রেখেছে -
এক যন্ত্রণাদায়ক আলিঙ্গনে!
তিমির পক্ষী জ্বলে আমার ললাটে,
যেখানে রাত নেমেছে,
অধিকন্তু বাতাস যা আমাকে বহন করে
কুয়াশা ও বজ্রপাতে।


ইতিমধ্যে আমি হারিয়ে গেছি এবং মৃত -
আমি আর মানুষের রূপের মতো নই ,
আমি ভেসে বেড়াই আবেগের ঢেউয়ে
আমার ভিতরে রক্তের মতন স্রোত
প্রকাশ্য একটি খোলা ক্ষত থেকে;
আর আমি ঢেউ চালাই, যা ছড়িয়ে পড়ে
তুষার এবং সাদা ফেনার উপকূলে,
সীমাহীন স্পষ্টতার নীল দূরত্বে, এবং
রাতের অস্পষ্টতায় যেখানে নক্ষত্র উদিত হয়
শয়তানের হাসির মত।


আমি ভাসছি উচ্চ স্বপ্নে,অতীন্দ্রিয় বৈভবের উচ্চতায়,
যেখানে চাঁদের আলোয় প্রস্ফুটিত হয় শুভ্র পদ্ম।
আমি একটি উচ্চ স্বপ্নের উপর ভাসমান,
যে আমি, আমি দেখি, নিজেকে অনির্দিষ্ট সত্তা হিসেবে।
বিস্তীর্ণ রাত,আমার উপরে তার কালো ডানা ছড়িয়ে
আমাকে লুকিয়ে রাখতে পারবে না।
আমার মুখ,আঁধারের উপরে উঠে,
ঐশ্বরিক চাঁদের কথা চিন্তা করে।


উৎসর্গঃ কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদ।


বিঃদ্রঃ (কবিতাটি একজন বিদেশি কবির কবিতা পড়ে)