এসো মহামায়া!
এসো সর্ব-সুর তেজপুঞ্জ বলশালিনী শৌর্যাবতী,
এসো শিবপুরী কৈলাস হতে হে জগদ্বাত্রী মহাশক্তি।
এসো সোমক্ষয়ে সোম কেশরী বাহনে,
এসো হে হিমাদ্রি-নন্দিনী উমা, এসো আশ্বিনে।
এসো অগ্নিবর্ণা, অগ্নিলোচনা, শিবানী শিব-জায়া,
এসো পরমেশ্বরী-সর্বমন্ত্রময়ী-যোগমায়া।
এসো মহা সংকটে দুর্গতিনাশে দূর্গা-নাশিনী
এসো রণ চণ্ডী-মহাকালিকা-মহিষমর্দিনী।
এসো মাগো বধিতে মর্ত্যের শুম্ভ-নিশুম্ভ,
এসো সংহার করিতে পাপ-তাপ যত অশুভ।
এসো দূর করিতে দুঃখ দুর্দশা -হে গৌরি!
এসো নিদানে সুদিন ফেরাতে মাতা ভ্রামরী।
এসো আধাঁরের বাঁধ খুলিয়া পূর্নিমা তিথিতে,
এসো  বর্ষ-স্তুপিত সকল গ্লানি পুঁছিতে।
এসো রসাশূন্য শ্রীহীন নিষ্প্রাণ ভূ-মন্ডলে,
এসো ধরণী করিতে পূর্ণ ফুলে ফসলে।
এসো ক্ষুধার্ত সন্তানের মুখে অন্ন দানিতে মা-অন্নপূর্ণা!
এসো গন্ধেশ্বরী বৈষ্ণবী শাকম্ভরী ত্রিলোচনা!


(কবি শেফালী রানী দাসকে ১৪২৯ বাংলার শারদীয় উৎসবে উৎসর্গ)