মৃদুল হাওয়ায় সুললিত পাখির ধ্বনিতে
আমি একাই হাঁটছি এই মুখরিত স্নিগ্ধ প্রভাতে ।
কিন্ত অতিক্রান্ত রাতের নৃশংস খুনের বিদঘুটে -
ঘটনায় ক্রমশ মন্থর বেগে নির্মল বায়ু কালকূটে।
নির্দোষ শ্রথিত আত্মার রোল-আর্তস্বরে,
পাখির সুলেল কণ্ঠেলীন ব্যাথায় ভরে -
গোটা নগরী ভারাক্রান্ত। জনশূন্য রাজ সরণি!
ঊর্ধ্বে হেরি গোরস্থানের নামাঙ্কিত খুঁটির মতন,
দাঁড়িয়ে আছে সুশীল সমাজের এক-একটি ভবন।
গৃহাভন্ত্যরে সুশীল সভ্য আত্মারা কত নম্র, শিষ্ট
নিথর নীরব নৈঃশব্দময়!


অথচ অতীত রাতে এরা বিনিদ্রত -
প্রত্যক্ষদর্শী! নারকীয় হত্যাকাণ্ডে জ্ঞাত,
এরা প্রস্তর- মূর্তির মতোই দাঁড়িয়ে থেকে
সবকিছু অবলোকন করেছে নির্মম চোখে
শ্রথিত প্রাণের ব্যাকুলি করুণ আরতি!
আকর্ণনেও নিশ্চুপ এই গোবেচারা জাতি।


বরং এরা নিজেকে নিমিত্তে বাক-শ্রব-দৃষ্টি প্রতিবন্ধী
এমনকি মৃত বলে ঘোষণা করে! সাক্ষ্য জবানবন্দি -
থেকে নিজেকে বাচাঁতে।আবার অধীর অপেক্ষায় -
কোন পত্রিকায়?বর্ণনা কেমন? প্রথম পাতায়?  
কৌতুহল ভরে দেখতে পুনরুৎপত্তি হয় পুনর্বার!
এই সভ্য-ভব্য সুবিধাবাদী সুশীলদের ধিক্কার!
পরবর্তী শতাব্দী এই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কালের কালিতে
লিপিবদ্ধ একবিংশ শতাব্দীর সমাজ তন্ত্র গ্রন্থে।



(আমার কবিবন্ধু মোনালিসা চৌধুরী মাইশা এর কিছু  না-বলা কথা যেভাবে পাষাণ স্তুপের মত অন্তরে জমা সেই না বলা কথাচয়কে আর সুশীল সমাজের প্রতি আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতাকে কাব্যিক রূপ দেওয়া।)