এই ঘুমন্ত জনপদে-
আমি একাই হাঁটছি কালনীর তটে
স্তব্ধ নিশার অন্ধকারে ঘন-ঘোলাটে-
পথে।।দুর্জ্ঞেয় পথ জনশূন্য!
সমস্ত-লোক নিদ্রার আবেশে সম্যক স্বপ্ন-মগ্ন।
এরা দেখতে পায়না দস্যুর হিংস্র থাবার অবাধ লুন্ঠন,
অবরুদ্ধ অন্ধকার কুটিরে গোপনে অপহরণ ।
বলহীনা-রমনীর আর অসহায় শিশুর বিপন্ন প্রাণ
সম্মুখে মৃত্যুর বিভীষিকা ভয়ার্তরা গেয়ে যায় জীবনের গান।
এরা দেখতে পায় না সর্বহারা নির্বাক-ধূসর মুখ!


এরা শুনতে পায় না-বুলেটের স্ফুলিঙ্গ অগ্নির ছর্রা ধ্বনি!
ষোড়শী-কন্যার সম্ভ্রম-হারা অপ্রকাশিত ক্রন্দন-
নির্যাতিত-নিগৃহীত সর্বস্বান্তের উচ্চ-রোল প্রকটন।


এরা গন্ধ পায়না-অর্ধগলিত পঁচা লাশের যে গন্ধ উড়ে বাতাসে,
বন্ধগৃহে-স্বরিৎজলে-নর্দমায় খোলা আকাশে।
এরা দেখতে-শোনতে- শুঁকতে পায়না নিদ্রায় আত্ম- বিস্মৃত,
এদের আঁখি-বন্ধ- স্তব্ধ শ্রবণেন্দ্রিয়-রুদ্ধ ঘ্রাণেন্দ্ৰিয় এরা মৃত।


নগরী মহাশ্মশান!
পাপাত্মারা সব বিনিদ্র; উঠেছে কল্মষ দুষ্কর্ম্মে মেতে,
আজি এই অলক্ষ্যে অশুভ আঁধার ঘুচাতে পাপ মুছিতে-
কবে উদিত হবে নব কিরণমালীর আলোক রশ্মি?
নতুন ভোরের প্রত্যাশায় অপেক্ষিত আমি -
অতন্দ্রিত আঁখি মেলে,
পাখির কল ধ্বনিতে যবে ভোর হলো রোদ্দুর আলোয় ঝলমলে।
ঘুম ভেঙে উঠলো সবাই দেখলো সজীব-সুন্দর-শান্ত বসুন্ধরা,
আমি দেখেছিলাম পথে পথে ঘুরে বেড়ায় যত সব নেড়িকুত্তারা!


বিঃদ্রঃ ০২-০৯-২০২২খ্রীঃ  দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত।
বিঃদ্রঃ কালনী একটি নদীর নাম।