জয়! মহাজনের জয়! জয় জয় মহাজন!
বলে কারে করছো ভজন?
বলছো কাকে? কোন স্বর্গের দেবতা সে?
কোন সে মহৎ-জন!
আমি বলি সে এক ঘৃন্যজীব!
তুমি যারে করছো নমস্য;
বন্ধু,-যে কেড়ে নেয় একটি কৃষকের
অদম্য কর্মের-অশ্রান্ত মেহনতের শস্য,
তাকে? যে কাড়ে মাঠের ঝলমলে সোনালী ফসল -
একটা কৃষকের স্বপ্ন, তাঁর প্রাণখোলা হাসি!
সুখ-শান্তি অস্তিত্ব ভিটা-মাটি সর্বস্ব শেষ সম্বল।


যে শ্রমিকের হাড়ভাঙা কায়িক শ্রমের উপার্জন-
শঠে খায়, তাদের স্বেদজলের অর্থ।পিশাচ সে!
কাঙালের হক মেরে গড়েছে নান্দনিক ভবন।
ভক্ষক সে সর্বগ্রাসী! অন্যের স্বত্ব গ্রাসে-
গদিতে বসে পেতে আসন,
মহারাজ বেশে করছে শোষণ।


বন্ধু, এই তোমাদের দেবতা!
আমি পদাঘাত করি ঐ দেবতার বুকে,
নিষ্ঠীবন ফেলি তার লোভী মুখে।
এরা কারো আপন-আত্মীয় হয়না
এরা কুজন-স্বজন নয়,এরা সকল বন্ধনহীন,
এরা ঋনদাতা রক্তচোষা কুসীদজীবী,
এরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনুষ্যত্বহীন।


এদের কাছে অর্থ-ই অতি মূল্য!
এরা মানুষই নয়, দেবতা কিসের? এরা অসুর তুল্য।
রাজা মহারাজা নয়, এরা দেশ- জাতি-দশের দুশমন
মহাজন (মহৎ) কিসে? বলো সবাই এরাই  যে গন-দুশমন।