হে কিশোর হে দুরন্ত সুত -
হে নব যৌবনের দূত,
আধা চেতা আধা অচেতন-
আধা-অমা আধা বিভা অফুটন্ত যৌবন।
তখন-ও তুমি কিশোর -
ফুটেনি পূর্ণ যৌবন তব মাঝে ফুটিল মানবতার ফুল,
হে দিল-দরাজ দীনবন্ধু কিশোর অতুল!
ওগো মহিমার্ণব কিশোর আজি তোমায়,-
স্মরণ করি গো তব মহিমায়।
কালের ঘড়ি চলে স্মরণাতীতে -
পৌষের তীব্র কন কন হিম শীতে,
যবে দেখিলে হায়!
পথধারে বসে এক বৃদ্ধ জীর্ণ শীর্ণ বস্ত্রহীন কায়-
শৈত্যপ্রবাহে কুন্ঠিত থর থর অঙ্গে কম্পন,
জড়ালে উষ্ণ আলিঙ্গনে ;খুলে দিলে তব অঙ্গের উষ্ণ-বসন।
পাড়া-গাঁয়ে যেথা যত দেখিলে দীন-দরিদ্র,
হে কিশোর সেথায় বেজে উঠলো তব হৃদ-যন্ত্র।
বঞ্চিত পীড়িত সর্বহারা মানুষের ব্যাথায় হলে  সমব্যথী,
গাহিলে তাদেরই গান, হলে তাদেরই সাথী।