উত্তপ্ত রুষ্ট দুপুরের প্রখর অসহ্য রোদে অবেলায়
অর্ধনগ্ন ধূলিমাখা অঙ্গে এক লোক ঘুমিয়ে আছে রেন্টিতলায়
অনাদারে অবহেলায়,
অভুক্ত ভোজনস্পৃহায়।
যাযাবর ঠিকানা বিহীন  -
পেটে-পিঠের চামড়া এক হয়ে গেছে আহা খায়নি কতদিন!


ঘুমের মধ্যে বারেবার
ঢিঁল ছুড়ে মারে পথচারী কে সে?  কে সে!
এক পথচারী-শিশু জিজ্ঞাসে "মা ঐ লোকটা কে? "
পাশ কেটে মা বলেন-" পাগল! চলো অন্যদিকে।"
শুনে,রোষকষায়িত রক্তিম চোখে -
পাগলটা একাই যাচ্ছে বকে-বকে
"কে পাগল? পাগল কে?
কিসের পাগল,কেমন পাগল?
আমি পাগল?হা-হা-হা;আমি পাগল!
তোরা সব্বাই পাগল, যত্ত সব বুদ্ধুর দল!
যারা ভক্ষণ করে দেশের হক তাদের গিয়ে কিছু বল? "


ভীড় বাঁধা সমস্ত লোক হতভম্ব!
এ কি করেছে এই পাগল আরম্ভ
জোরে হেঁকে হেঁকে বলে,-"আমি তো দেশদ্রোহী নই!
বা কোন রাজকার,কারো সাথে কি আছে স্বদেশ বিভক্তির চুক্তি সই;
আমি আজকের টেন্ডারবাজ নই, নয় কোন পুঁজিবাদ,
অবাধ লুন্ঠনে অট্টালিকা গড়ার নেই স্বপ্ন অগাধ।
আমি কুসীদজীবী নয়, ঘুষখোর নয় বা মহাভয়-ত্রাস!
অন্যের অর্থ লভি না প্রবঞ্চনায় সম্পদ করিনা গ্রাস।
আমি দেশনায়ক হতে চাইনা কিংবা নেতার পাতিনেতা বা সৈরাচার,
ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে রুদ্ধ করিবো উন্নয়নের দ্বার।(


আমি পাগল!
হ্যাঁ, আমি আস্ত একটা পাগল! আমার ভয় নাই,
ঘর নাই, অন্ন-বস্ত্র কিছু নাই, পথে পথে ঘুরি তাই।
তোদের যত ভয় সব ক'টা ভীতুর দল!
মুখে মেরেছিস কুলুপ,বাহু দুর্বল-হীনবল।
দে! আমাকে দে! স্বাধীনতার প্রথম রাইফেল,
যত অন্যায় অত্যাচার দূর্নীতি করিতে গায়েল।
দে! এনে দে! নতুন রণে আমি হব রণবীর
পাগল নয়, বল সকলে, বল আমিই মহাবীর!"