হে মহানন্দা, হে স্রোতস্বিনী!
ওগো তরঙ্গিণী, স্বর্গের সুরুধুনী,
একি স্বর্গের সৌন্দর্য দেখি তোমার -তটে -
শুষ্ক তরুর মস্তকে নবাঙ্কুর ফুটে-লুটে।
অবিদিত কত পরিযায়ী আজ পাখিরা দলে-দলে,
সুরেলা শ্রুতিমধুর সঙ্গীতে সুরের মূর্ছনা তুলে।
এতো শোভা-কান্তি ; এতো সুর -সঙ্গীত!
ও-কি তোমার প্রণয়ী শশাঙ্কের আগমন ইঙ্গিত?
বুঝেছি, আজ সেই শুভ-ক্ষন সেই শুভ-তিথি!
শনৈঃশনৈঃ পশ্চাতে ঢলে দিনমণি, ঝাঁপিয়েছে নিশিথি-
ধরণীর বুকে। আঁধারে আচ্ছাদিত বসুধায় -
উদিল তোমার প্রেয়সী নভেঃ উচ্ছল জ্যোৎস্নায়।
অসীম শূন্যে দুলে দোদুল ঐ একাদশী চাঁদ,
সেই চাঁদানন দেখে বুঝি তুমি আজ প্রেমোন্মাদ!
তোমার মাঝে এলো আনন্দ, এলো জোয়ার,
প্রেম-সুখ মত্ত প্রাণে যৌবন সঞ্চার।
তোমা' জল-পীন বুকে ব্যেপে উন্মত্ত বাতাস,
উতরোল জল ছলছল অনুরাগ উচ্ছ্বাস।
তরঙ্গে-তরঙ্গে বিধুনন,-আলো-বায়ু-জল মিশ্রণ;
আজ মহানন্দার মহা-মিলন।
ওগো শশী-লীলা সাথি!
খেল শশী সনে,রসখেলা উদ্দাম লীলায়,
বিদায়! আমি বিদায় তোমার কুল ছেড়ে চির বিদায়!!