যাযাবর মানুষ পৃথিবীর ঊষালগ্ন থেকে  -
শতাব্দীর পর শতাব্দী সুদীর্ঘ পথ হাঁটতে হাঁটতে
সন্ধ্যায় এসে পৌঁছালো সভ্যতায়;
নির্মাণ করলো চার অক্ষরে একটি শব্দ 'আধুনিক'!
গোটা বিশ্বকে নিয়ে এলো মুঠোয়,
স্বপ্নের সিঁড়িঁ বেয়ে বেয়ে এ দেশ ও দেশ ছুটে-ছুটে চলছে মানুষ-
উন্নত জীবনের প্রত্যাশায়, নানামুখী শিক্ষায় বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করতে;
এতে বাঙালীরাও বিপুল অধ্যবসায়ী।


আজ সংখ্যাতীত বাঙালী -
অপর দেশীয় রেওয়াজ রীতি সভ্যতায় সংস্কৃতে আসক্ত ;
কারো কারো ভাষা, চলন-বলন,খাদ্য-বস্ত্র চিন্তা চেতনায়,
বেশে ভূষে কেউ কেউ  চীনা-ডাচ-ল্যাটিন জাপানিজ কিংবা
কেউ কেউ ইংলিশ সাহেব-মেমসাহেব!


যে যাই হোক, তাতে আমার কি? আমি তো বাঙালী!
ধুতি পাঞ্জাবি পড়ি, মাছ ভাত আলু ভর্তা নিত্য ভোজন করি !
ভাটির লোকগীতি গাই। তাই দেখে শুনে
আধুনিক সভ্য সাহেব-মেমসাহেবরা মুখ ভেংচে উপাধি দিলেন "আনস্মার্ট-'গেহভূত'-খেত"!


আমি বলেছিলাম, -
আমি পহেলা বৈশাখের সঙ-সেজে ঢং করা বাঙালী নই!
পোশাকে-খাদ্যে, শিল্পে-সাহিত্যে, মননে-মগজে,অন্তরে-আত্মায় ;
আপাদমস্তক একজন বাঙালী!
এটাই আমার শ্রেষ্ঠ পরিচয়! এ জন্মের অপার সার্থকতা।
একজন খাঁটি বাঙালীই বাংলার প্রকৃত কবি;
আর কবিরা সর্ব মস্তক-তাজ!