জানো,
আমাদের দোতালার ছোট্ট যে ঘরটা
হাজার স্মৃতি দিয়ে ঘেরা যার দেওয়ালটা,
তার সামনে রেলিং দেওয়া স্বপ্ন দিয়ে সাজানো যে ছোট্ট বারান্দা
যা তোমার স্নানের পবিত্রতা মাখানো ধুপের ধোয়ায় ভরে উঠত,
তোমার হাতের স্পর্শে ফুটে উঠা ফুল ভরা টবগুলি যেখানে ছিল!
তোমার মনে আছি কী? না থাকবারই কথা
তার উপর পিলারের ছাড়া যে রড গুলি ছিল……
জানো, সেদিন একা একা দাঁড়িয়ে ছিলাম স্মৃতি নিয়ে
হঠাৎ চোখে পরে, হয়ত সেই ঘুঘুটা, যে রোজ তোমার হাতের স্পর্শে মিষ্টি কাঁকন খেত?
যার নাম তুমি দিয়েছিলে স্বপ্নিল, মনে আছে তো!
নাকি সুদিনের আলো অতিতকে ভুলিয়ে দিয়েছে।
তোমার সেই স্বপ্নিল একটি খড়কুটো নিয়ে আসছে!
খুব আনন্দ হয়েছিল।একদিন এভাবেই একটি, দুটো খড়কুটো নিয়েই ঘরটা গড়েছিলাম।
এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে………। শূন্য ঘরটার দিকে তাকিয়ে…………।
নোংরা হবে ভেবে প্রবীর বলেছিল ভেঙ্গে দিই, আমি পারিনি ভেঙ্গে দিতে………।
আজ দেখি ছোট্ট ছোট্ট দুটি বাচ্চা, তারা কিচিরমিচির করছে।
দুজনেই ঠোঠে ঠোট লাগিয়ে বড় করছে।
আনন্দ হয়েছে কিন্তু কেন জানিনা চোখ দুটি ভিজে উঠল…………………
আর দুদিন………!
তারপর শুন্যতা দিয়ে সে বাসাকে পরিত্যাক্ত করে পারি দিবে…………।
শুধু অপেক্ষা…………।আর হয়ত ফিরবেনা।
অভিমানি মন ও হয়ত আর ডাকবেনা………………।
তবু ভাল থাকুক ওরা।