মনসা মঙ্গল ছড়িয়েছিল
পূর্ববঙ্গে আর উত্তরবঙ্গে,
চণ্ডীমঙ্গলের বহুল প্রচার
দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে।
মাধবাচার্য চণ্ডীমঙ্গলের
খ্যাতনামা এক কবি,
সারদামঙ্গল তাঁরই লেখা
দেখি তৎকালে সমাজের প্রতিচ্ছবি।
কাব্যের চরিত্র চিত্রায়ন করে
অনেকে এঁকেছেন ছবি;
মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর হাতে ফুটে উঠেছে
দেখি মোরা সবি !
ধনপতি- খুল্লনা দিয়ে
এ কাহিনীর শুরু,
কপালের ফেরে খুল্লনা গেল বনে
খাওয়াতে ছাগলকে তরু !
চণ্ডীর কোপে পরে ধনপতি খোয়ালো তাঁর
সাধের ছয় ডিঙ্গা,
রক্ষা পেলেন তিনি কিছু মাঝি-মাল্লা সহ
বিষাদে বাজালো শিঙ্গা !
সমুদ্র পথে আসিবার কালে
দেখিলেন কমলে কামিনী মূর্তি,
সিঙ্ঘলে পৌঁছে রাজাকে বলিলেন সব
মনে নিয়ে অনেক ফুর্তি !
সব শুনে রাজা বলিলেন
যত সব বাজে গল্প;
ফাটকে পুরে দাও সদাগরকে
বুঝবে ব্যাটা গল্পটি নয় অল্প !
খুল্লনা সদাগরের বউ
তাঁর পরামর্শে,
ছেলে শ্রীমন্ত্র করল সমুদ্র যাত্রা
খুল্লনা রইলো যে বিমর্ষে !
কালিদহে পৌঁছে শ্রীমন্ত্র দেখলেন
মায়ের কমলে কামিনী রূপ,
সিঙ্ঘলে পৌঁছে রাজাকে জানালেন
দেখলাম তাঁকে অপরূপ !
সব শুনে রাজা শাস্তির জন্য
যেই না হয়েছে ব্যাস্ত,
দৈব বাণী হল সহসা ,ওকে দিলে শাস্তি
রাখবোনা তোকে আস্ত !!
মায়ের মন ছেলেকে পাঠিয়ে
করলেন পূজা চণ্ডীর ,
তাতেই মা সন্তুষ্ট হয়ে
কেটে দিলেন বিপদের গণ্ডী !
চণ্ডী মঙ্গল কাব্যে পাই
লেখক লেখনীর ঝাঁজ,
এইতো সবে আরম্ভ ভাই
এখনো দেরি আছে হতে সাঁঝ !!