ধর্মমঙ্গল কাব্যে আছে
ধর্মরাজের কথা,
রাঢ অঞ্চলে করতো পূজা
ছিল ডোমেদের গাথা !
তাঁর ঘটকে সামনে রেখে
ভক্তরা করতেন গান,
পায়ে দিয়ে নূপুর বাজত মৃদঙ্গ
দিতেন তাতে তান !
ধর্মরাজের বরপুত্র
নাম ছিল লাউসেন;
মল্লবিদ্যায় পারদর্শী তিনি
যেন ভীমসেন !
গৌড়েশ্বরের শ্যালিকা
নামটি রঞ্জাবতি,
রূপে গুণে অদ্বিতীয়া
যেন সরস্বতী !
এহেন বালিকার তিনি দিলেন বিয়ে
বৃদ্ধ কর্ণসেনের সাথে,
সামন্ত রাজা করে তাঁকে
পাঠালেন ময়নাতে।
বৃদ্ধ রাজ কর্ণসেনের
পুত্র নাহি হয়,
রঞ্জাবতির সুখ নেই
লাগেনা মধুময় !!
রঞ্জাবতি একদিন কতকিছু ভেবে
বসেছিলেন ছাতে,
দেখলেন ধর্মরাজের গাজন বাদ্যি সহ
যাছে রাজপথে।
কৌতূহলী রঞ্জা সুধায় পুরোহিতকে
কি হবে বল ধর্মরাজের পূজা করলে ?
পুরোহিত শুনে বলে পুত্রহীনের পুত্র হবে
করলে নিষ্ঠা ভরে পূজা;
তাই শুনে ভক্তিমতী রঞ্জাবতি কন্ঠকে পড়লো শুয়ে
রাখলো চোখ বোজা !
ধর্মরাজের হল দয়া
দিলেন তিনি পুত্র,
রাজরানী রঞ্জাকে দেখতে এল
কত সব পাত্র মিত্র !
কর্ণসেন রাখিলেন পুত্রের নাম
লাউসেন,
পরাক্রমি রাজপুত্র সেবন করেনা
অহিফেন।
অনার্য ডোমেদের সাথে
ছিল তাঁর ভাব,
কালু ডোম সেনাপতি মিটিয়েছিল
জয়ের অভাব !
ব্রাম্ভণেরা সেই সময় ডোমেদের
করতো না পূজা,
জাত খোয়াবার ভয়ে
দাঁড়িয়ে দেখত মজা !
উচ্চ নীচ বর্ণের মধ্য
ছিলনা কোন মিল,
রাজনীতিতে এখন সবই সস্তা
দেখিনা কোন অমিল !!