খ্রীষ্টপূর্ব পনেরো শতকের পূর্বেই
ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল আর্য জাতি,
তাঁরাই আমাদের পূর্ব পুরুষ
তাদের নিয়ে আজ মাতি !
খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে খ্রীষ্টিয় দশম শতক
মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার যুগ,
ইংরাজিতে একেই বলে মধ্য ইন্দো-আর্য যুগ।
খ্রীষ্টিয় ত্রেয়োদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক ছিল
মঙ্গলকাব্যের ব্যাপ্তিকাল,
এতদিনে ভাষা এগিয়েছে অনেক
হয়ত শেষ হল শিক্ষাকাল !
ধর্মমঙ্গলে পাই দেখতে
অনেক কবির ভিড়,
ধর্মরাজের মাহাত্যে এক তাঁরা
লাগেনি ভাবনায় চিড় !
রামদাশ আদক আর সীতারাম দাস
কেউ কৈবর্তের ছেলে,
কেউবা কায়স্থ হয়ে
ধরেছে নিজেকে মেলে !
ঘনরাম চক্রবর্তী মঙ্গলকাব্য লিখে
পেয়েছিল অনেক খ্যাতি,
কবিরত্নে ভূষিত হয়ে
তিনি চিনিয়েছিল জাতি।
অনুপ্রাসাদি আর অলংকারে
ছিলেন তিনি নিপুণ,
স্বছন্দে করেছেন শব্দ চয়ন
লিখেছেন সুনিপুণ।
বিপক্ষে দেখিয়া বড় নদে বাড়ে বান।
কুলুকুলু কুরব কমল কানে কান।।
ভারতচন্দ্র শেষ কবি হয়ে
হল মধ্যযুগের শেষ,
সাহিত্যে বিবর্তনের ধারাপাত বেয়ে চলে
দেখতে লাগে বেশ !!