অষ্টাদশ শতকে মাতৃ উপাসকরা
    করত শক্তি পূজা,
    এতো বৈষ্ণব সাধকের প্রেম নয়
    হৃদয় দিয়ে মাকে খোঁজা।
    শক্তি রূপিণী কোথাও হয়েছেন
    কন্যারূপী উমা,
    কোথাও আবার মাতৃরুপ আলোকিত করে
    হয়েছেন তিনি শ্যামা !
    ভীষণা রূপা মাকে দেখে
    লিখছেন ভক্ত কবি,
    মা কি আমার কালো রে।
    কালরূপে দিগম্বরী
    হৃদিপদ্ম করে আলো রে।।


    বাংলা সাহিত্যে শ্যামা সঙ্গীতের আছে
    বিশেষ অবদান,
    সাহিত্য সেথায় এগিয়ে গেল
    লিখে রামপ্রসাদের গান।
    শাক্ত সঙ্গীত প্রভাবিত হয়
    দুটি ভিন্ন ধারায়;
    কন্যা আর মাতৃরুপে থেকে
    অন্তরেতেই হারায় !
    শাক্ত কবিরা উমাকে নিয়ে লিখেছেন
    আগমনী ও বিজয়ার গান,
    ভক্তি রসে প্লাবিত হই
    শ্যামা সঙ্গীত দেয় টান।।