একটা রোদেলা হাওয়া
আমায় ছুয়ে গেল
আমায় আরও বলে গেল
তুমি চিন্তা করনা
একটি পাখি ডেকে গেল
আমায় আরও বলে গেল
চোখের জল ফেলনা
মনের বল হারায়ওনা
ক্লান্তহীন পথ চলা পথিক
আমার ডাকে সাড়া দিয়ে
বলে, আমি আবার আসব ফিরে
ফিরায়ে দেব তোমার সান্তানেরে।
মাথায় কাফনের কাপড় বাধা
বুকে লাল সবুজের পতাকা
পণ করেছে বঙ্গমাতার নও জোয়ানেরা
বাঙলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবেই আনবে
যুদ্ধে চলেছে কাকন বিবি-
সেতারা বেগম, আরও তারামন বিবি
শক্তি ছিল জেধ ছিল
লজ্জা নিবারণ করে তারাও
ময়দানে নেমেছিল
ক্লান্তহীন চোখে
ধুধু মরুভূমির বুকে
জাহানারার রক্তমাখা শার্টটি।
এক বুক আশা তাঁর
বুকের ভীতর হাহাকার
নক্ষত্রের মত ছুটে এসে
জুড়াবে তার প্রাণ
মুক্তিকামী বীর সন্তান
কেউ ফিরছে কেউ ফিরছে না
কেউ হাসছে কেউ হাসছে না
কাঁধে বন্দুক গায়ে রক্তমাখা
চোখে মুখে মলিন হাসি আঁকা
বিব্রত চেহারা
কে দেবে তার পাহারা
লাশের গন্ধ ছুটছে
কুকুর শকুনেরা ঘুটছে
স্বজন হারা প্রিয়জনের মুখে
কাঙ্খিত হাসিটি রোদে ফুটে
হয়ে আছে অম্লান
নিস্তেজ এক প্রাণ।
আর কতকাল যুদ্ধ চলবে ?
কখন পথিক এসে বলবে
তাঁর একমাত্র ছোট্ট সোনাটির কথা
বাঙলা জয়ের কথা।
সে ফিরবে কি ফিরবে না
আসে যায় কত শত
কেউ তার কথা বলে না।
সেই অাশাতে আচল ভিজায়
দুটি আঁখি জলে
নিলাচল আস্তাবলে
আজ দুটি চোখ ঝাপসা দেখে
তবুও বুকে আশা রাখে
বঙ্গনারী বঙ্গমাতা
জীবম্মৃত বীশ্বমাতা
মুক্ত গগনে উড়াবে তার সন্তান
স্বাধীনতার পতাকা।


               রচনাকাল ঃ ১০-০৩-২০০৯
                       স্থান ঃ যশোর