আমরা নীলকন্ঠ
##########
লাঙলের সীতায় ধরণীর বুকে
যে লিখেছিল ফসলের  ভাষা,
কালের টানে সমাজের ভারে,
তকমা পেল অভদ্র চাষা।


ফলসের গান,আল্লা মেঘ দে
পানি দে,শুখা আশমান।
ফসলের লাগি দিনরাত জাগি,
বুকে বেঁধে অটুট আশা।
উড়ে যাওয়া মেঘে,প্রকৃতির ভাষা
বোঝে অভদ্র চাষা  ।


নব্য সভ্য বাবু স্যাটেলাইটে কাবু
মূল্যায়ন কি করিবে ?
চাষার দান-অবদান ।
বলদের বদলে লাঙ্গল
নিজ কাঁধে নিলে।
শুষ্ক মাঠের বুক চিরে
কোদালে কোদালে।
উদয়াস্ত পরিশ্রমে গেয়ে
গেল ফসলের জয়গান ।


নব্য বাবু,খাতা হাতে,
ট্রাক্টর সাথে নিয়ে বিজ্ঞের বিধান।
মার্জিত মুখে অমার্জিত ঠোঁটে
ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে ফসলের ফরমান।
সেকালে আর একালের-
বীজ আর ফসলের তফাত,
আর কত কি প্রয়োগ প্রযুক্তির প্রমান ।


এসেছে সময়একবিংশ
শতাব্দীর বদলেছে সেকেলে
চাষের বিধি মজদুরি।
পাল্টেছে লাঙ্গলের ভাষা,জয়গানে-
ট্রাক্টর-অর্গানিক চাষের কারিকুরী।


জ্ঞানে-বিজ্ঞানে,স্যাটেলাইট আর,
বিজ্ঞাপনে দিনেদিনে হচ্ছি-
সচেতন আকুণ্ঠ।
ধরা থেকে অধরা,ব্যাধি থেকে জরা
জীব থেকে জীবালয় আজ
শুধু বিষে বিষে নীলকণ্ঠ।